Skip to content

উলঙ্গ-যাত্রা – কমল মাইতি

উলঙ্গ-যাত্রা
কমল মাইতি

আমি তো নগণ্য এক প্রাণ
দায়- দায়িত্ব অর্পণ করে নি কেউ আর
যে যার মতো করে গেছে কাজ
চলেগেছে কেউ অন্ধকারে কেউবা দাঁড়িয়ে স্মৃতির আলোয়
রেখে গেছে যা ছিল সব সাজিয়ে— সকলের অধিকার।

দুহাত ভরে নিতে নিতে শ্লথ হয়েছি যখন
তখন বুঝেছি–
নিতে নয় দিতে হবে দুহাত খুলে;
নিচু নয়, উঁচু নয়,
মাথাতেই যদি হয় সকলে সমান
তবে দেখা- দেখি, চেনা- চিনি হয় যথাযথ,
নতুবা আকার-প্রকার এক পরিচয়
আড়ালে সকলই আড়াল হয়।

শৈশবে বুঝিনি মাটির মূল্য
দুই হাতে খুঁড়েছি মাটি
গড়েছি দেবতার নামে অপদেবতা—কিম্ভুতকিমাকার!
জোৎস্না গলে গলে পড়া খড়ের চালের নীচে
শুয়ে দেখেছি
পেয়ারাগাছে ঝুলে থাকে বাদুড়
নিমগাছে চুপিসারে বসে থাকে লক্ষ্মীপেঁচা, মনে পড়ে– রাগ করে ভেঙেছিলাম মূর্তিগুলো দেবতা হয়নি বলে।

যখন জেনেছি দেবতা কোথাও নেই মানুষের মনে ছাড়া, সে কথা বলার মত পাইনি মন;
অসহায় একা একা পথে পথে বিচিত্র মানুষের
পাশে
একই অস্থিমজ্জায় তবু আমি ভিন্ন কেন?
কেনবা ঈশ্বরের প্রচ্ছায়া অন্তরে রাখিনি?
শুধু প্রেম আর প্রেম খুঁজে কিছুটা পেয়ে কিছুটা হারিয়ে মানুষের তরে কি রেখে যাব? তাই ভাবি নিশিদিন উলঙ্গ-যাত্রা আগে।

মন্তব্য করুন