Skip to content

উপন্যাস অভিলাষের লেখকের কিছু কথা – মোঃ ইব্রাহিম হোসেন রাজশাহী

উপন্যাস অভিলাষ, লেখকের কিছু কথাঃ
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন

উৎসর্গঃ
উদরে গর্ভধারিণী প্রাণের সহধর্মিণী
জন্মদাতা পিতা ও কন্যা তনয়,
আপামর সনে মানুষের কল্যাণে
বিশ্বমানবতার প্রণয়।

-:লেখকের কিছু কথা:-

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আস্সলামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ।
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়া’লার জন্য। যিনি আমাকে ৩২টি যৌথ কাব্যগ্রন্থে অংশগ্রহণ এবং ১৮টি যৌথ কাব্যগ্রন্থ সম্পাদন করে প্রথম উপন্যাস ‘ইতি কথা’র পরে চতুর্থ গ্রন্থ (দ্বিতীয় উপন্যাস) “অভিলাষ” প্রকাশ করার তৌফিক দান করেছেন।
এর পর জানাই প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি লাখো কোটি দুরুদ ও সালাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।
তার পরপরেই জন্মদাতা পিতা-মাতার পদতলে করি শ্রদ্ধা নিবেদন। যাঁদের ভালোবাসা, স্নেহ-মমতার বাহুডোরে লালিত-পালিত হয়ে আজ আমি এত বড় হয়েছি। মহান আল্লাহ তা’য়ালা যেন তাঁদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন – আমিন।
তারপর জানাই আমার প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী মোসাঃ নূরমহল বেগমের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা, যার অনুপ্রেরণায় এতদূর আসা!

১৯৯৭ সাল সপ্তম শ্রেণী, শৈশবকাল থেকেই আমার লেখালেখির হাতে খড়ি পড়ে। কত লেখা নষ্ট হয়েছে অকালে, কত লেখা নষ্ট হয়েছে হারানো খাতার পাতায়, কত লেখা নষ্ট হয়েছে অবহেলা গঞ্জনায়।
এ লেখার জন্য কত মানুষ করেছে হিংসা, উপহাস, ঠাট্টা, বিদ্রুপ। তবুও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে হিংসুকদের  হিংসা, উপহাস আমার লেখালেখি দমাতে পারেনি। এ সব উপেক্ষা করে চলেছে অনির্বাণ কলমের গতি এবং মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতে এ পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও অধিক (২৫০০+) কাব্য  রচনার মাইল ফলক স্পর্শ করতে সক্ষম হই – আলহামদুলিল্লাহ।

“অভিলাষ” উপন্যাসটি  কোরআন হাদিসের মারফতে সম্পূর্ণ সামাজিক আঙ্গিকে, কিছু সুর ও ছন্দের ঝঙ্কারের সমাহারে, পারিবারিক, সামাজিক শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে অত্যন্ত৷ সুন্দর ও সুনিপুণভাবে সাজানো হয়েছে। আশা করি উপন্যাসটি সকলের হৃদয়ে নাড়া দেবেই।  সরল সঠিক পথ নির্দেশনার ভূমিকা পালন করবে এবং ন্যায়-নীতি ও সদাচারণের দিকে ধাবিত করতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ। প্রত্যেকেরই এমন একটি বই পড়ে অনুধাবন করা উচিৎ। বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার। মানুষ বেইমানি করতে কিন্তু বই ও বইয়ের সঠিক অনুধাবনের জ্ঞান কখনো বেইমানি করতে পারে না।  সকলের মাঝে এমন একটি সুন্দর উপন্যাস উপহার দিতে পেরে সত্যি আমি অত্যন্ত আনন্দিত, আপ্লুত ও অভিভূত!

পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয়।
প্রত্যেক লেখক-লেখিকা-ই চায় তাঁর নির্ভুল লেখা দিয়ে সুন্দর রুচিসম্মত তার সেরা লেখনীর সেরা লেখাটাই  উপহার দিতে। আমিও কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দর, সুনিপুণ, সহজ, সাবলীল সৌন্দর্যমণ্ডিত শব্দশৈলীর দ্বারা নির্ভুলভাবে, নির্ভুল একটি উপন্যাস “অভিলাষ” লেখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি মাত্র। কিন্তু মানুষ মাত্রই ভুল হয়, ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক এর কিছুই নয়, কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে না। আর আমি তো অতি সামান্য মানুষ, একজন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম ব্যক্তি। উপন্যাসটিতে কোনো প্রকার ভুলভ্রান্তি হলে আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
আর হ্যাঁ, উপন্যাসটি সম্পূর্ণ কাল্পনিকভাবে নির্মিত।
তবে কোরআন, হাদিস ও গুণীজনের উক্তিগুলো পবিত্র কোরআন, হাদিস ও গুণীজন থেকে সংকলিত।  এর সংলাপ, কাহিনি ও বর্ণনা  যদি কারো জীবনের সাথে হুবহু বা আংশিক মিলে গিয়ে কেউ মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেনো আমার সৎ-সাহসী লেখনীর মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশ ও দশের কল্যাণে আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারি আপনাদের মাঝে।
এ প্রত্যাশায় সকলের প্রতি রইলো আমার নিরন্তর ভালোবাসা, প্রীতি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

কবি ও লেখক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন,
কাদিপুর,  ভাটোপাড়া, গোদাগাড়ী, রাজশাহী
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক:
রাজশাহী সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ।

অভিলাষ উপন্যাসের অভিমতঃ
মাহমুদুল হাসান নিজামী

উপন্যাস হচ্ছে মূলত সমাজের চিত্রায়ন। একটি জাতি, একটি সমাজ কোন অবস্থায় আছে সেটি উপন্যাসে চিত্রায়ন করা হয়। আর এই চিত্রায়নটি যদি উপন্যাসের মাধ্যমে যথাযথভাবে উপস্থাপন হয় তখন উপন্যাসটি হয়ে যায় কালজয়ী। একটি ভালো উপন্যাস থেকে একটি কালজয়ী সিনেমা নির্মাণের সম্ভব যদি সে উপন্যাসটি মানুষের সমাজ এবং জীবনের তরে পরিবর্তনের সম্ভাবনার কোন বিষয়বস্তু চিন্তায়িত হয়। বর্তমানে যারা হাতের লেখার খড়ি দেয়, তারা শুধু কবিতা লেখার মাধ্যমে কবি হয়ে যেতে চায়। বর্তমানে এত অসংখ্য কবি হয়ে আছে, যাদের প্রায় সকলেরই অধিকাংশই কবিতা কি জিনিস তা বুঝে না। কবিতার উপমা উৎপেক্ষাও বুঝেন না। সস্তা কবিতার অবয়ব সাজিয়ে কবি হওয়ার মহান নেশায় ব্যস্ত। অথচ উপন্যাস, প্রবন্ধ এমন গল্পের মত সাহিত্যের সেরা শাখা গুলো নিয়ে অধিকাংশই কিছু বোঝেন না বা মাথা ঘামান না। বর্তমান সময়ে সাহিত্যে উপন্যাস গল্প এবং প্রবন্ধে যে সংকট চলছে তা নিরসনে মোঃ ইব্রাহিম হোসেনের “অভিলাষ” উপন্যাসটি নবযাত্রা সূচনা করবে বলে আমার বিশ্বাস। মোঃ ইব্রাহিম হোসেন এই উপন্যাসের মাধ্যমে সাহিত্যিকদেরকে উপন্যাসমুখী হতে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। মোঃ ইব্রাহিম হোসেন এই উপন্যাসের মাধ্যমে তার নিজস্ব বর্ণনায় মুসলিম সমাজের সংস্কৃতি আচার-আচরণ ধর্মীয় আবরণ তাহজিব তামাদ্দুন তথা কালচারকে সামাজিক উপন্যাসের মাধ্যমে চিত্রায়ন করেছেন। আমি মোঃ ইব্রাহিম হোসেনের “অভিলাষ” উপন্যাসটির সফলতা কামনা করছি।

মাহমুদুল হাসান নিজামী
কবি গবেষক
সম্পাদক দৈনিক দেশজগত
সভাপতি জাতীয় কবিত মঞ্চ
এবং 140 টি বইয়ের লেখক।

মন্তব্য করুন