এই মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে,
কেমন যেন একটা শূন্যতা কাজ করছে,
বুকের ভেতর কী যেন দুমড়েমুচড়ে ওঠছে,
আমি ডানে বায়ে তাকাতে পারিনি।
আমার মাথার ওপর সবুজ বৃক্ষ আর আমি পাতাঝরা পথের দিকে চেয়ে চেয়ে পথটা পার করলাম।
আমি তো আমার আবেগকে থর মরুভূমিতে নির্বাসন দিয়েছি সেই কবে থেকে!
এই আবেগ আবার কী করে আমার ভেতর আসলো?
পৃথিবীতে এত কিছু আছে কিন্তু তুমি ছাড়া পুরা পৃথিবীই শূন্য মনে হয়!
শূন্য মনে হয় সমুদ্র, সাকিবের চায়ের দোকান,সেই গাছ তলা, এক কোনে একা দাঁড়িয়ে থাকা টিউবওয়েল।
তুমি চলে যাবার পর এতটাই একা লাগছিল যে, বিরক্তিকর মশাগুলোকেও আপন মনে হচ্ছিল!
আমগাছটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে শরীরের সমস্ত ভর পায়ে নিয়ে, যেন এক মহাশূন্য!
পথে আসতে আসতে একটা কাক কা কা করে ডেকে ওঠলো।
মনে হল, সেও আমার মতো একা!
অনেক ঝরাপাতা পুড়ানো হয়েছে।
আমি কিছু ঝরাপাতা জমিয়ে রেখেছি-
সেই ঝরাপাতার স্তরে স্তরে চাপা দিয়েছি কিছু আবেগ!
মনে হচ্ছে সেই আবেগ আবার আড়মোড়া দিয়ে ওঠবে খুব দ্রুত সময়ে!
সিঁড়িগুলোকে খুব অভিমানী মনে হল।
কোন কথা নেই, নড়াচড়া নেই। যেন এক পৃথিবী চাপা কষ্ট বুকে নিয়ে শুয়ে আছে!
সেই আমগাছটি দাঁড়িয়ে আছে একবুক চাপা ভার নিয়ে!
যেমন করে দাঁড়িয়ে থাকি অন্ধকারে আকাশের দিকে চেয়ে।