Skip to content

আবার তবে একাদশীতে এসো তিথী – ইন্দ্র চন্দ্র নীল

ওই!!”

শুনছো!!!

এই চান্দের রাইতে মাঝে মইধ্যেই
তোমার কথা আমার খুব মনে পড়ে গোঁ,,,খুব মনে পড়ে,,,,,,

জানো,!!!

ওই চান্দের রাইতেই,,
তোমার লগে আমার প্রথম দেখা হই ছিলো,,,
মনে আচ্ছে?

জানো!
আমি নিরালায় বইয়া বইয়া আইজোও,
তোমার কথা যত্ন কইরা ভাবি।

কি অসম্ভব অসহায় কইরা আমায় ফালাইয়া থুইয়া নিজে চইলা গেছো না ফেরার দেশে,,,

জ্যোৎস্না রাইতে,
তোমার কল্পনায় জাগ্রত থাহি যহোন!
মনে পড়ে
তুমি আমার হইবা কইয়া,
আজীবনের জন্য পালাইয়া গেলা!!! ”
কি করলা!!!

আমি সেই দিন থিকা একাই ছিলাম!
চল তে চল তে আমি নিজেরে লইয়া বড্ডো কেলান্ত হইয়া শ্যাষে একটা ঠিকানা পাইছি।

জানো আইজ তোমারে এক খান কথা কই,,
তুমিও শুনলে খুশিই হইবা।
তুমিও হেই কথাই কইতা,

মুই রাইগ্যা তোমারে খুব বকতাম।

হু-নো কতা-ডা কই!!

আমি না নতুন কইরা নিজেরে আবার নিঃস্ব করছি! জানো!!
এক্কারে কিছুই রাহি নাই!
হ তুমার নামের ভালোবাসাও আমি হ্যেরে কইছি,,,,
কইছি তোমার বেবাক গল্প গুলান।
কইছি তোমার চান্দের নাহান মুক- খানের গল্প।
হেই দিন ডাও এই চান্দেরই রাইত ছেলো।

তুমি আমার ধরাছোঁয়ার মাঝেও রইলা না,!!
ক্যেন যে ওই রকম ঘটলো আইজো চোখ্যে টলটল করে।
হেই কথা মনে হইলে আগেতো কাইন্দাই ফালাইতাম।
কতো রাইত ঘুমাই নাই, জানো!!!,
নিজেও হেই হিসাব রাহি-নাই।

কোন দূর আকাশে একেবারে পালাইয়া গেলা।
স্বার্থপরের মত আমারে একলা ফালাইয়া,,,,
কি হইতো যদি লগে কইরা নিজের ধারেই রাখতা ?

জানো!

আমি তারপর তোমারে যখন খুইজ্জা খুইজ্জা আধ পাগোলের মতো ঘুইরা বারাইছি !!
তখন মাঝে মইধ্যে গঞ্জিকা খাইয়া ভোলা বাবার নামেই পইরা থাকচি অনেক দিন।

তারপর তোমারে ঘুছাইয়া রাখছিলাম তোমার নামের পাতায়।
আমার তারপর আর তোমারে হারানোর কো-নো দুঃখ ছেলোনা।
মনে হইলেই পাতা খুইল্লা পড়তে থাকতাম।
পড়তে পড়তে কহোন ঘুমাইয়া পড়তাম হুস হইতো না।

তোমার চোখ দুই খানের সাতশো পাতায় ছিলো বর্ননায়।
আমি তো ওই গুলাই বেশি পরতাম।

আরে তিথি! ??

তুমি এই রহোম রাইগা যাইতাছো ক্যেন তোমার চোখ দুই খান কেমন জানি লাগে?

কি হইছে কইবা?

কও তিথি হুনি কি হইছে?

চোক্কো দুইটা ওই ছলছল করে ক্যেন?

আইজো বুঝি কইবা আমার এই সব প্যাচাল পারা কথা তোমার হোনতে ভালো লাগে না?

তিথি! আইজ তোমারে আমি সত্যিই তোমার একটা অনেক ব্যাথা দেওয়া কথা কমু,,

,তুমি বিশ্বাস করো আমার কিছুই করার ছেলো না।
আমিও বেইমানের মতোই নিজেরে ভালো রাখার লোভে ওই কাম করছি।

কি কাম? সোনবা?

যাইহোক আইজ কিন্তু বেবাক কথাডা সুইনা তারপর যা-ওন লাগবো।
হুট কইরা চইলা যাইয়ো না।

কইতাছিতো,,,ওই রহোম চোক্কের কি আছে?

হেইডা ছেলো একটা আমাব্যইস্যা রাইত,,,

আমি তোমার নামের পাতা খান ছিড়া ফালাইছি।

নাই!

আইজ এক খান পাতাও নাই।

সব ছিড়া,,, আমি সত্যিই নিজেরে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বানাইয়া সেই স্বপ্ন বেইচা দিছি অন্ধকারের থিকা এক বিন্দু আলোর শিখা দেইখা যেই পথে কিছুটা পৌছাইতেই দেখি তোমার মতোই এক দ্বিপ শিখা।
আমি নিজের সব স্বপ্ন গুলা তার কাছে বেইচা দিছি।
শুধু তার ওই আলোয় নিজের বাকি জীবন টা কাটানোর ইচ্ছায়।

জানো তিথি!!!
নতুন মানুষ টার রাগ টা একটু বেশিই।
অভিমান আরো বেশি।
খুব শক্ত মানুষ ।
আবার কিছু ভুল টুল করলে রাইগ্যা যায়।
আমি ক্ষমা চাইলে ক্ষমাও কইরা দেয়।
নতুন মানুষ টা ও খুব ভালো।
আর আমি তারে অহোন খুব ভালোবাসি।
আমি তারে কইছি আমার মরণডা যেন তোর কোলেই মাথা রাইখা হয়।
তুই আমারে দূর কইরা তাড়াইস না।
আমার আর কিছুই নাই তোরে দেওনের মতো। পেরানডা চাইলে নেতে পারিস..
কি করমু ওডা আর কোন কামেই লাগবে না। ওডায় বাবলা গাছের কষ লাগচে।
তোর পিরিতের রস ছাড়া ওইডা আর বাচবে না।

জানো তিথি কথা গুলা কইতে গেলে মাঝে মইধ্যে এহোনো কাইন্দা দেই,,, ওরে দেখতে দেই না সেই সব।

ও-য় শুইনা হাসে তেমন কিছুই কয় না।
তবে জানো ক্যেন জানি খুব বিশ্বাস হয় নতুন মানুষ টারে।
হ গো আমিও মনে করি হ্যেয় আমারে ভালোবাসে।
তিথি!?
তুমি কানতাছো ক্যেন?

তুমিই তো কইতা,,, যহোন তোমার মাথায় হাত বুলাইয়া দিতাম।
এট্টু আদর করতে গ্যেলেই তুমি এই কথা টাই কইতা বারবার।
আর আমি রাইগ্যা গিয়া মাঝ মাঝে গাইলাইতাম তোমারে।
আইজ কানতাছো ক্যেন?
আমার বুঝি ইচ্ছা হয় না!
আমিও সংসারের দিকে যাই।
আমিও সব বন্ধু গো মতো খুশিতে থাকি।
আনন্দে থাকি?
ক্যেন? ক্যেন?
আমি ওই সব ভাবতে পারি না।
আমিতো তোমারে নিয়াও এই সব স্বপ্নই দেখতাম।

তুমি ওই ভাবে ক্যেন জেদ কইরা আমার উপরে রাগ দেহাইয়া হন হন কইরা পিছনে চইলা গ্যেলা?

আমি তো তোমার পাশেই ছিলাম আমারে কইয়াও যাও নাই।
পিছনে ওই বিকট আওয়াজে তাকাইয়া দেখি আমার সব শ্যাষ।

হ্যা তুমি নিজেরে স্থাপন করছিলা আমার সব অধিকারের ছায়ায়।
আমি হেই সব কথাও কইছি নতুন মানুষ টারে।

আমি! আমি! তার কাছে কিছহু লুকাই নাই।

আমার সব ভালো লাগা।
আমার সব খারাপ লাগা অনুভূতি গুলা।
আমার কি পছন্দ.. আমার কি পছন্দ না… আমার সব টুকুই তারে আমি নিজের মানুষ ভাই-বা গুণ গুণ কইরা সব কইছি।

জানো তিথি!!!

আইজ নিজেরে একটু ভালো রাখার লোভে পইরা আমার সব স্বপ্ন আমার ইচ্ছে আমার বেবাক পরিস্থিতিতে আমি নতুন মানুষ টারেই চাই।

নতুন মানুষ টা কিন্তু খুব হিংসুইট্টা ও কিন্তু আগেই কইছে,,
যেদিন হিসাব নেবে পাই পাই হিসাব না মিললেই খবর আছে আমার।

ওই চান্দের রাইতে,
তোমারে লইয়া আমি যেমন স্বপ্ন সাজাইতাম!!
তোমার মাঝে আমি আমারে সঁপে দিছিলাম যেমন!
ঠিক সেই একই স্বপ্ন নতুন মানুষ টারে নিয়া পেত্তেক দিন সাজাই।

জানো,,
তখন তুমি একটু কথা কওয়ার জন্য তখন কতো দিনের পর দিন অপেক্ষা করতা।
আর যেই অভিযোগ তুইলা কইতা এক দিন আমি বুঝমু কি জ্বালা হয়।
হু বুঝি গো,,,
আমার বুকের পাঁজর কয়টা তার হিসাব ভালোই পায়।

একটু দেখার জন্য কত আকুতি করতা।
আমি ধমকাইয়া চুপ করাইতাম কাজের তাগিদে।
কইতা একদিন আমার সব ব্যস্ততা হারাইয়া যাবে।
সেই দিন তুমি থাকবে না।
তিথি!!
আজ সত্যিই সেই ব্যস্ততা আমার কিছুই নাই।
আমিও ওই একই জ্বালায় জ্বলি।

মাঝে মধ্যে মনে হয় তোমার তোলা অভিযোগ গুলা আমার জীবনে অভিশাপে বদলা নিতাছে।
আর তুমি দূর থিকা দেইখা হয়তো আনন্দই পাও।

না মানুষ টারে কইতে পারি না।
প্রিয় আমার খুব দ্যেখতে ইচ্ছা করে তোমায়।
তখন তো এতো সব আজকের মতো উন্নত ব্যাবস্থাও ছিলো না।
আইজ সব আছে।
সত্যিই সব আছে গো।
শুধু ইচ্ছে প্রকাশের সাহস নাই।

আমি ভয়েও নতুন মানুষ টারে কইতে পারি না।

প্রিয়,, তোমারে আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করে।

কারণ সে আমারে বিস্বাস করে না।

থাকেও আমার থেকে অনেক টাই দূরে রোজ দেখাও হয় না।

ও-তিথি!!! —
তোমারে তো কই-ই নাই,,

আমি তোমারে যেমন খুশি হইয়া তিথি কইয়া ডাকতাম ।, ,, প্রিয় আমার ওই নতুন মানুষ টার নাম।
আমি ওরে ওই নামেই ডাকি।
বিশ্বাস করো ওয় যহোন হু কইরা আমার ডাকে সাড়া দেয়।
আমাই কইলজা টা আনন্দে ভইরা যায়।

মনে হয় আমি এই জন্যই বাইচা আছি।
আমি অর পিছু পিছু নিজেরে শেষ দিন পর্যন্ত ওর সাথেই থাখমু।
আমি এই খান থিকা কোত্থাও নিজের নিমুও না যামুও না।

তিথি ”
তোমারে আমি যত্ন কইরা এই হৃদয়ের মনিকোঠায় রাখছি, এইখান থাইকা তুমি কোথাও পালাইতে পারবা না।
জীবনে তুমি মনে পড়বা না তা ঠিক না।

মনে পড়লেও আমি সেই অবস্থার কথা কোন দিনই নতুন মানুষ টারে দেখতে দিমু না।

আর আমার হৃদপিণ্ড টা আমি নতুন মানুষ টার নামে লেইখা দিছি।
সেই দিন টাও ছিলো এই রকমের এক চান্দের রাইত।

তিথি,,!
তুমি খুশি হইছো?
আমার এই নতুন মানুষ টার গল্প শুইন্যা!!!
নাই গো হ্যের কোন ছবিও আমার ধারে নাই। থাকলে দেখাইতাম তোমারে।

তুমি কথা কও না ক্যেন তিথি?

ও হো,, আইজতো পঞ্চমী।
তুমি তো একাদশীতে কথা কও।
আইজ তায়লে আইছো ক্যেন?

কানতাছো ক্যেন তুমি?

আমি তো তোমার কথা রাখতেই গেছিলাম। রাস্তায় আমি সাবধানেই চলি।
যদি বালিতে গাড়িটা পিছল খাইয়া গাড়ি টা পইরা যায় হ্যেলে আমি কি করুম?
কি হইছে পইরা গেছি।
একটু তো রক্তই গ্যেছে আমি মইরাতো যাই নাই।
আমি জ্বল জ্যান্তই আছি।
যদি আমি মরি তয়লে ওই নতুন মানুষ টার কাছেই মরমু।
আর হ্যা আমি তখন তার সাথেই দেখা করতে যাইতে ছিলাম অতো দূর থিকা।
না ভয় আমি পাই নাই।
ভয় পাইছি
বুইন ডা দেখতে চাইলে কি কমু?

আর এই কথাই ভাবতে ভাবতে রাস্তার ধারে এক বাড়িতে জল দিয়া রক্তের দাগ গুলা ধুইতে ছিলাম এর মধ্যেই ফোনের শব্দ দেখি জ্যোতি।
ভয়ে ভয়ে যেই কইছি।
কয় আমার মনে এই জন্যই কু ডাক দিতে ছিলো দাদা।
কই যাইবা?
কই লাম প্রিয় ফোন কইরা যাইতে কইছে তাই দেখা করতে।
কইছে তোমার প্রচুর এনার্জি শক্তি।
আমি কইছি বুইন রে মানুষ টা তো আমার প্রিয় মানুষ।
ক্যেন থাকবো না?
সাবধানে যাও।
পৌছাইয়া খবর দিবা।

হু আমার মঙ্গলের দশা টা বাড়ছে তাই রক্তপাত হইছে।
আমি মইরা তো যাই নাই।
কিন্তু তিথি !!
তুমি এমন কানতাছো ক্যেন?
আমি কিছুই বুঝতে পারতাছি না!

আচ্ছা আমি তোমারে ভুইলা গ্যেছি?

নাঃ আমি একটুও বদলাই নাই।
তোমারে কখনোই ভুলবো না তিথি!!!!

তিথি!!!! তি -থি!!! তি—থি,,,

আবার তবে একাদশিতে এ—–সো!!!!!

প্রিয় “র ছবি পাইলে দেখাবো!!!!!

মন্তব্য করুন