Skip to content

আত্মধিক্কার – প্রসূন গোস্বামী

মায়া, নদীর মতো, শুকিয়ে যায়,
ধীরে ধীরে, ধীরে ধীরে।
কাঁঠাল গাছের ছায়া মিলিয়ে যায়,
হাওয়ায় ঘুরে ঘুরে।
মায়ের চোখের জল, স্রোতে থাকে,
অবিরাম, থেমে থেমে।
স্ত্রীর মনের আকাশ, কালো মেঘে ঢাকা,
আজকের দিনে।
কন্যাদ্বয়, দুটি কচি চারা,
ভাঙা পুতুল খেলে।
বাবার নেই খেলনা, বুকে শুধু
দায়গুলি জমে।
শালির স্বপ্ন, রঙিন কাগজে আঁকা,
হাওয়ায় উড়ে যায়।
আমি ব্যস্ত, নিজের খাঁচায়,
স্বার্থের সীমানায়।

কখন শেষ দেখা হয়েছিল,
মামার বাড়ির বটগাছের নিচে?
কখন শেষ কথা, ফোনের ওপাশে,
শালির সাথে?
আত্মীয়তার রুপালি আঁচড়,
কখন ম্লান হয়ে যায়?
আমি ব্যাকুল, স্বপ্নের শিকারি,
ক্ষণজন্মা আশায়।
স্ত্রীর হাসি ঝরে পড়ে,
শোকের সাগর তীরে,
ব্যথার সুরে বাঁধা পড়ে,
কষ্টের নীরব ঘিরে।
কন্যারা মেঘের পালক,
বিহঙ্গ বিনা পাখায়,
স্বপ্নের সুর হারিয়ে ফেলে,
নীরবতার ছায়ায়।

আমার কর্তব্য, কেবল অর্থের লীলায়,
জীবনের খেলায়।
মনের আত্মিকতা বন্দী রক্তের বন্ধনে,
সীমাবদ্ধ স্থানে।
আঁধি উঠেছে নিজের মধ্যে,
মুছে ফেলতে চাই সব হিসাব।
পেতে চাই মায়ের আশীর্বাদ, স্ত্রীর ভালোবাসা,
কন্যাদের ছোট্ট হাত।
ফিরে যেতে ইচ্ছে, সেই আদি
উৎসের কাছে,
যেখানে পরিবার, ছিল আশ্রয়,
ছিল পূর্ণ সত্তার সাথে।

ফিরে যাওয়া আর এত সহজ নয়,
মন বাড়িয়েছে দূরত্ব।
আত্মধিক্কার নিয়ে, বন্ধনহীন এ জীবনে,
অস্তিত্ব।
দূরত্বের এই প্রসারণ, হয়তো,
এখনো রোখা যায়,
মনের সেতু, পরিবারের সাথে,
যদি আবার গাঁথা হয়।
হৃদয়ের গভীরে বেদনার অশ্রু,
ঝরে পড়ে অবিরাম।
মুক্তির পথ খুঁজে, ক্লান্ত মন,
করে চলে অভিযান।

মন্তব্য করুন