Skip to content

আগুণ / মল্লিকা রায়

আগুণ
– মল্লিকা রায়

ফিলিস্তিনী ধোঁওয়া তখনও
স্তিমিত হয় নি,পাঠশাল ভেদ করে
বেড়িয়ে এল মগজাস্ত্র
কার্তূজের নলে হেড স্যারের মুন্ড
“আপনার মেয়ের……..”

পরদিন নগরের প্রথম পৃষ্ঠায়।

ব্যলেন্স বেশি ছিল না বলে
পৃষ্ঠপোষকের দল চিবিয়ে খেল
ছেলের দশ বছরের মাথা।

অসম ত্যেজ্য করল ওকে
ওর মত আরো অনেক’কে, শরীরে ক্ষরণ
রক্তের আধিক্যে ভেসে যাচ্ছে
ভারতমাতার তলদেশ ; উর্দ্ধে চেয়ে
বুকফাটা আর্তনাদে কাঁপিয়ে তুলছে চত্বর
লুটিয়ে পড়ল ও

ভারতবর্ষের,থুরি !!
ভারতমাতার কোলে।

তিনি তখন গুনে গুনে স্বীকৃতি দিচ্ছেন
স্বরাজ যজ্ঞের প্রসূতিসদনে
স্বরবর্ণ ব্যঞ্জণবর্ণের রসায়নে ;
জন্মের আর্ত চিৎকারের বেওয়ারিশ লাশ

দৌড়চ্ছে,পালাচ্ছে, ওরা
উঠছে আবার পড়ছে, পিষ্ট হচ্ছে,
তবুও মরিয়া

পরিচয় পত্রটা……………..

কনসেনট্রেশন ক্যম্প থেকে বাহিনীর
বুটের আওয়াজ , অসমের কান্না
পালিয়ে বাঁচছে ওদের আত্মজন,
পিছ থেকে টেনে ধরছে ভয়ার্ত হাত

উদগ্র স্বরে প্রৌঢ়ের লাথি
শ্লা মরিস লাই ? জানিস বটে……

এইটুকুন কাগজট্যয় ম্যুদের ভাত,কাপড় ।।

মন্তব্য করুন