Skip to content

অভিশপ্ত ঈশ্বর/আজিজুল হক

অভিশপ্ত ঈশ্বর
আজিজুল হক

আচ্ছা,খোদা, তুমি কেনই বা এত দুঃখ কিংবা ভীতুর আতুর ঘর?
মানুষেরা ভয় দেখাও বেহস্ত কিংবা দোযখের !
তা দিয়ে আদায় করতে চাও
মানুষের সম্ভ্রম কিংবা বশ্যতার!
নিজের দূর্বলতা ঢাকতে তুমি
মানুষের ভীতি আদায় করবার খোঁজ নানান ফন্দি কৌশল।
ভগবান, তুমিই বা কেমনতর?
তুমিও তো নরক কিংবা স্বর্গের ধ্বজা ধর!
নিজেরে মহান বলে আসলে মূর্তির মাঝেই নিজের দুর্বলতা ধারণ কর!
কতশত মানুষ মরিছে কত না অবিচারে,
কেমনতর বিচার তোমার
মানুষেরই উপহাস কর !
আল্লাহ কিংবা হরি
যে যাই বলুক,
আসলে মানুষের হৃদয় ভেঙে
মানুষেরই বিবেক কর চুরি।
এতই যদি রহমত তোমার,
ক্ষমাশীল তুমি,
তবে কেন নিজেদের লড়াইয়ে
মানুষেরই মারো ধর্ম কিংবা জাত – বেজাতের নামে?
মনু কিংবা আদম ,
শতরূপা বা হাওয়া..
হয় যদি আদি পিতা কিংবা মাতা ,
তবে কিসের তরে জাতের লড়াই?
আদমি – মানুষ একই যে রূপ
আদম কিংবা মনুর বেশে!
বিচ্ছেদ যে তোর আসল সত্য,
বুঝেও মানুষ নির্বাক সাজে
ক্ষমতা! সে যে সত্যিই তোর বড়ই মিছে!
কিসের জোরে প্রাণ গেলো ঈশার ?
ইহুদির আগ্রাসী মারণ গ্রাসে,
পুত্র কিনা তুমিই জানো,
ক্ষমতা হল না বাঁচাতে নিজের ঔরসে!
হা খোদা , হায় ভগবান , সৃষ্টি তোদের করল যারা ,
সেই মানুষই যে সত্য আসল,সেই মানুষই মহান।
তোরা সব নপুংসকের দল
মানুষের পূজ্য হয়ে মানুষেরই করিস শুধু ছল!
দেখছিস কত দুর্নীতিবাজ ঘুরছে দেশ দেশান্তরে,
মুরোদ থাকলে দে দেখি তাদের এক নিমিষে দুর করে!
বালাই ষাট! এসব কথা কেনই বা বলছি তোমায়,
আসলে অভিশপ্ত নিজেই তুমি,
মানুষের মাঝে ভেদাভেদ বাড়াও।
মানুষেরই বলি চড়াও!
কেউ বা আসিস বছর বছর,
কেউ বা রোজ পাঁচবার !
টিকির দেখা পাই না কেউ,
হাপিত্যেশ যে হর হামেশাই!
মোল্লা যত মৌলভী আর,
বামুন কিংবা পৈতেধারী,
আসলে ফুলে ফেঁপে উঠে তাদের ভগবান নামের কারবারি !
এসব ছেড়ে এবার মানুষ হ!
মানুষের মাঝে কর বসবাস ,
স্বর্গ ,বেহেশত,দোজখ ,নরক ওসব ছুঁড়ে দে ফেলে আজ,
চল হাতে হাত মিলিয়ে উপরে ফেলি ফন্দিবাজের যত ধান্দাগিরির সাজ!
মনে শুধু রাখিস তুই ,বিপ্লবীরা মানুষ সবাই..
ইশা, মুসা,কৃষ্ণ কিংবা মোহাম্মদ ,
মানুষ বটে ,গেয়েছে সবাই মানুষেরই সওগাত।
মানুষই তাদের করেছ মহান ,
মানুষই জন্যই ধর্ম বটে,
মানুষের গড়ে সমাজ ,সভ্যতা আর বিজ্ঞান…
তুমি শুধু অভিশপ্ত ঈশ্বররুপী
ভন্ড কিংবা ভণ্ডামির আদ্যপান্ত প্রলোভন!
আজিজুল হক
23/2/23

মন্তব্য করুন