Skip to content

অবিক্রিত চিত্তের এক বারবণিতা

অবিক্রিত চিত্তের এক বারবণিতা
—————————-এস.আই.তানভী

প্রথম দেখার দু বছর পর- আজ থেকে পাঁচ বছর আগে,
দ্বিতীয় মুখোমুখি- পতিতালয়ে সুগন্ধ ছড়ানো, সস্তায়
প্রেম বিলানো এক ঘরে, সহজেই চিনতে পারলো, “তুমি!
আবার? একবার এসেছিলে, কেন যে কিছু না বলে
ফিরে গেলে? কেউ এভাবে যায় নি কোন দিন,
যারা আসে- শকুন, হায়েনার মতো খামচে ধরে,
চিড়ে বিড়ে খায়, তারা তৃপ্ত হয়- আমি ক্ষতবিক্ষত,
বসো, কেউ আসবে না, এটা অসময়, শুধু তুমি-আমি,
জানি, তুমি ওসব কিছুই করবে না; গল্প করবে ক্ষনিক,
বসো বসো, আমিও অনেক খুঁজেছি তোমাকে।”
কাঠের চেয়ারটা টেনে বসলাম, এ ঘরে শত লোক আসে,
কাম-তৃষ্ণা মেটায় রোজ দামী কাগজের বিনিময়ে,
হাজার লোকের আনা-গোনাতেও ভুলে নি, আশ্চর্য!

যৌবনের স্রোতে- এক জ্যোস্নারাতে, খদ্দের হয়ে
কাম বাসনার প্রথম স্বাদ পেতে এসেছিলাম তার ঘরে,
প্রথম দেখা- কেঁপেছিলাম থরথর, আন্দাজে শিশির-
বছর সাতেক বড়, আমি একুশ- সে আটাশ মাত্র,
বেকুবের মতো কিছুক্ষন অপলক চেয়ে থেকে
ইচ্ছেটার দাফন করেই ফিরলাম বন্ধুদের ফেলে,
যে ইচ্ছেটাকে আর কোন দিন জাগতে দেয় নি।

তার মুখখানি ভুলতে পারি নি, অন্যরকম মায়াবিনী,
আজ, কাম তৃষ্ণায় নয় এসেছি তাকে বুঝতে,
বুঝলাম- “তার এ দশা আমাদেরই জন্য, বেঁচে থাকতে-
হতে হয়েছে পুরুষের ভোগ্য পণ্য; তবে
দেহ বিক্রি করে ঠিকই, হৃদয়টা অবিক্রেয়।”
———————
১২/১২/১২ইং

মন্তব্য করুন