Skip to content

অপেক্ষার অপেক্ষা -৮ — রমেন মজুমদার

অপেক্ষার অপেক্ষা -৮
——(ছোটগল্পের আঙ্গিকে কবিতা)
রমেন মজুমদার,২৮/০৯/২০

দিন গুটিয়ে নেয় প্রতিদিন জীবন থেকে,
সময়ের বড় মূল্য ;কাউকে ফাঁকি দিয়ে যায়,আবার কাউকে পূর্ণাতায় ভরে দেয় শূন্য কলসি।
আশার ঘরে ঢালাই হয়ে গেছে আগেই, সেখানে কেবল কংক্রিটের জমানো কিছু শব্দকে কবর দেয়া হয়েছে।
জীবনের খাত বাহিত হয় উল্টোপাল্টা ভাবে,
কোনোদিন ভাবিনি যে জীবন একটি ভালোলাগার মধ্যেই আটকে থাকবে?
কিছুদিন ব্যথাতুর প্রাণ নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছি এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত। উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটতে ছুটতে একদিন এসে হাজির হয়েছি অন্য কারও সাহায্যের হাত ধরে ফণীভূষণ মজুমদারের বৈঠকখানায় ….
সে অনেক কাহিনী ! তবুও ভুলতে পারিনি প্রথম প্রেমের কথা ! হোঁচট খেলাম জীবনের প্রারম্ভেই।
তারপর আমিও সাবালক হতে থাকলাম,প্রেমও এক এক করে গড়িয়ে আসতে লাগলো পালাক্রমে…
শুনতে বড্ড লজ্জার কথা ! প্রথম প্রেম
সুফিয়ার নিকট থেকে।
সুফিয়াও আমাকে আলগে রাখতে পারেনি,সেদিনের সেই অর্ধ সাবালক প্রেম উপেক্ষা করে ফণীদার আহ্বানে সাড়া দিয়ে নেমে এলাম রাজপথে !

সে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের উত্থাল আন্দোলন, তারও আগ থেকে আন্দোলন চলছিল দেশব্যাপী। উনিশ’শ আটষট্টির প্রথম লগ্নে জীবিকার সন্ধানে ছুটে বেড়িয়েছি অনেকদূর পর্যন্ত। একদিন এক সুহৃদ বন্ধুর ডাকে
ছুটে এলাম মহিসেরচর গ্রামে।
সে গ্রাম হলেও শহরের অতি নিকটে বলেই গ্রামকে আর গ্রাম বলে মনে হয়না। শহর ঘেঁষা গ্রাম।শহরের সকল সুযোগ গ্রামের মানুষগুলো পায় অনায়াসেই.।
পিতৃবিয়োগের পরে হাতে শেখা বিড়ি তৈরির কাজে ডাক পেলাম মহিষেরচর।
আমিও তার কৌশল জেনে নিয়েছিলাম অনেক আগেই ,কী করে বিড়ি বানাতে হয়।
তখন ভারতীয় কেন্দুপাতার ব্যবহার ছিল পাকিস্তানেও। হ্যাঁ তখনতো পাকিস্তানই…
স্বাধিকারের আন্দোলন তুঙ্গে নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু তার এগারো ও ছয় দফার
আন্দোলনের মাধ্যমে।

চলবে–( ক্রমশ)
##########

মন্তব্য করুন