Skip to content

অপেক্ষার অপেক্ষা-৫ — রমেন মজুমদার

অপেক্ষার অপেক্ষা-৫
—–(ছোট গল্পের আকারে কবিতা)
রমেন মজুমদার,১৪/০৯/২০

ফাল্গুনের পূর্ণিমা তিথি তখন,
করুণ সানাইয়ের প্রতিধ্বনি বুকের ভেতরটা কণকণ করে বাজতে লাগলো।
আমি তখন অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
বিস্তারিত সংবাদ শুনে থমকে গেলাম পড়ার ঘরে।
বন্ধুটি যাবার সময় বলে গেল আমাকে,
পরাজিত সৈনিক।
যার সাথে তৃষ্ণার বিবাহ হয়ে গেল সেও আমার পরিচিত।
সামলে নিলাম মনকে।
সংসারে সবকিছুর পূর্ণতা আসেনা,সে কথা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বলে গেছেন।
তার বিখ্যাত বর্ষা যাপন কবিতার শেষের পংক্তি গুলো এমন মর্ম বেদনায় বিগড়ে দিয়েছে।
“ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা, ছোট ছোট দুঃখ কথা
নিতান্তই সহজ সরল——-“ভাবতে ভাবতে বাইরে বেরিয়ে এলাম মুক্ত হওয়ায় ।

একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে সাংসারিক কাজের দিকে মনদিলাম।
একাধারে সংসারের সকল দায় প্রায় আমারই উপর। নয়-দশ বছরের সময় পিতৃবিয়োগ হওয়ার পরেই সংসারের সকল দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলাম।
তারপর বেলা গড়াতে থাকে জীবনের সাথে সাথে।
অনেক ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্যে পড়াশুনা চালিয়ে গেছি জোড়াতালি দিয়ে।
পেটের দুমুঠো অন্নের সন্ধান করেই তবে লেখাপড়া।
কেউ কেউ আমাকে বলতো এ’এক বিদ্যাসাগর!
তখন গ্রামে বিদ্যুৎ ছিলনা। কেরসিন তেল পুড়বে বলে জোছনার আলোতে উঠোনে বসে মাথা নিচু করে বইয়ের উপর চোখ রেখে পড়তাম।

আমাদের পাঠ্য বই থেকে রবীন্দ্রকাব্য পড়তে পড়তে এক জায়গায় এসে থেমে গেলাম…
কবিতার অংশে উল্লেখ আছে,
“কোলে ছিল সুরে বাঁধা বীণ, মনে ছিল বিচিত্র রাগিনী; মাঝখানে ছিঁড়ে যাবে তার সেকথা ভাবিনি।”

অসমাপ্ত—(ক্রমশ)

মন্তব্য করুন