আমার হাতে আঁকা পৃথীবিটা নীল
আর মায়াবী,
এপাশ হতে ওপাশে দক্ষিণা মলয়
বাতাসের রেশ।
কোকিলের কুহুতানে ধূসর
ক্ষণিকায়,
কোথাও পাবে না খুঁজে হিংস্র
হাসি আর কঠিন কবিতার শ্লোক!
হঠাথ দেখিবে সুর্যের হাসি;
শিশিরের দেশে পুলকিত
যেন মুক্তি।
হঠাথ শুনিবে ক্রন্দল রোল;
ডাহুকের’যেন
মিথ্যে ক্ষণিকার অনাস্রিষ্টি।
আবার দেখিবে হঠাৎ;আকাশে
বাধন-হারা বাতাসের
কালো মেঘ-
যেন বুনো হাতির দ’ল।
শ্রান্তির ছাঁয়া ঠোটে নিয়ে ও’রে যায়
ক’টি ধবল বকের দল।
ক্ষণিকায় চেয়ে র’বে চেয়ে;
রুপোলি ইলিশ পথে,
বাটে আর মাঠে নামে শ্রাবন ধারা।
বরোষার হরষে নাচে;
রুপোসী হরিণি,
হরিণির চোখ ভরা কঠিন নেশা।
নিরাশ দমকা হাওয়ায় বন্ধ কথন
পথেলা কিশোরি বলে ;
আমি অনিয়ম-কঠিন মানব কি?
না দানব…!
বিদিশার হাতে আঁকা নীল কীট।।