Skip to content

সেই তুই – শুভঙ্কর দাস

বন্ধু কাকে বলে জানতাম না।
তুই এসে শিখিয়েছিস বন্ধুত্ব।
বন্ধুবিনে ছিলাম এই জগতে ,
এখনও নেই সেই বন্ধু।
বন্ধুত্বেও যে রস আছে, ভালবাসা আছে,
মায়া মমত্তা আছে।
জানিয়েছিলি তুই সেই কথা।
আমাদের বন্ধুত্বটা ঠিক কয়েক দিনের,
মনে আছে তোর!
বলতে পারবি কত দিনের সেই বন্ধুত্বা?
আমার কিন্তু আছে মনে ,
৭৬ দিনের সেই সত্যতা।
বন্ধু বললে হয়তো কম হবে,
ভাই হয়ে ছিলাম আমরা।
কত না মজার ঘটনা মনে পরে !
দুজনে লুকিয়ে,
সিগারেটে সুখটানও দিয়েছিলাম।
এখন তা সবই অতীত,
মনের পাতায় আছে গাঁথা।
গিয়েছিলি ঘুরতে, চলে গেলি চিরতরে।
কিন্তু জানিস তোকে আমি এখনও,
এক সেকেন্ডের জন্য ভুলে যায়নি।
তোর ফোন নম্বরটা এখনও ,
আমার মোবাইলে সেভ্ করা আছে।
তোর জন্য জীবনের কয়েকটা বছর,
কেটেছে দুঃখে আর কষ্টে।
উপরে শুধু ভাল থাকার অভিনয় করেছি।
তুই আসার আগে, কোন বন্ধু ছিল না জীবনে।
তখন বুঝিনি বন্ধুত্বের ভাললাগা।
তুই চলে যাবার পর এখন শুধু একা।
মনে হয় বন্ধু ছারা পৃথিবী ফাঁকা।
মনে শুধু তুই ছিলি ,থাকবি চিরদিন।

হঠাত্ আমি তোকে পেলাম ,
সেই হেয়ার স্টাইল আর শান্ত স্বভাবের মাঝে।
পার্থক্য আছে একটা দাঁড়ি গোঁফের সাঝে।
দেখে প্রথমে থমকে গেলাম,
নামটা শুনে আরো চমকে গেলাম।
সেইটাও যে একি!
তুই আরো বেশি করে স্মৃতিতে থমকে রইলি।
এখন তোকে বিদায় দিতে চাই,
তার মাঝে খুঁজে নিতে পাই।
নতুন বন্ধুত্ব করতে চাই।
সে আদেও কী আমার বন্ধু হবে!
যদি হয় , তাহলে আর কোন দিন
হাতছারা করব না। সায়…………।

4 thoughts on “সেই তুই – শুভঙ্কর দাস”

মন্তব্য করুন