সাংসারিক ইচ্ছা – এক
প্রতি ভোরে, চোঁখ মেলেই দেখব
তোমার হাসি রঙিয়েছে সিঁথির সিঁদুর
ভেজা চুলে গাইছ ভৈরবী–
সাংসারিক ইচ্ছা – দুই
সকালের নাশতা শেষে,
ঠেলে-ঠুলে বাজারে পাঠালে
আর আমি ফিরব ব্যাগ ভর্তি পদ্ম নিয়ে।
তারপর রাগারাগি, বকাবকি
যার আড়ালে স্নিগ্ধ হাসি।
সোনামুখী সূর্যকন্যা হবে-
পদ্মালয়ে পদ্মমুখী-পদ্মাবতী।
সাংসারিক ইচ্ছা – তিন
সুজাতার মতো তুমিও হবে সবচেয়ে সুখী
সাংসারিক ইচ্ছা – চার
পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করবে–
কলহ পরবর্তী মিলনের প্রত্যাশায়।
সাংসারিক ইচ্ছা – পাঁচ থেকে সহস্র->
নন্দনকাননে প্রায়ই
তুমি কাদম্বরী,
আমি রবীন্দ্রনাথ।
শুধু তোমার জীবন থেকে মুছে দেব-
নয় বছর বয়সে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের সাথে বিয়ে
আর-
১৮৮৩এর ডিসেম্বরের পরের দিন গুলো।
কাদম্বরী’র
“শুধুই তোমার…. , শুধুই তোমাকে….”-দিয়ে
শুরু বাক্য গুলো তখন শুধুই আমার…………