পর্বত সমান শূণ্যতা বুকে নিয়ে ভূখন্ডের উপর দাঁড়িয়ে।
বেঁচে আছি এই রুগ্ন মর্তে,
নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার শর্তে।
এই পৃথিবী আমার মত পরিপুষ্ট নয়,
অনেকটা ক্যান্সারে আক্রান্ত ২৫ বছরের যুবক শিমুলের মত।
যার সারা দেহে আজ পচন ধরেছে।
পৃথিবীর প্রতিটি শিরা-উপশিরা আজ তাজা রক্তের অভাবে নেতিয়ে আছে,
চোখগুলো ভিতরে চলে গেছে,
ঠিক যেন শকুনে খুবলে খাওয়া বিভৎস্য অঙ্গ।
পৃথিবী আজ শকুন-হায়েনার রাজ্য,
যারা শুধু চেটেপুটে খেতে জানে।
কিন্তু আমি মানুষ! পুড়ে পুড়ে খাটি হওয়া একজন মানুষ,
আমি বিলিয়ে দিতে চাই- দেহের শেষ রক্তবিন্দু অথবা তিল তিল করে জমে উঠা মাংসপিণ্ড।
প্রতিটি “মা” যেমন তার সন্তানের জন্য সমস্ত সুখ ত্যাগ করে,
আমিও পৃথিবীকে দিতে চাই দেহের প্রতিটি অঙ্গ ক্ষয় করে।
জীর্ণশীর্ণ, রুগ্ন পৃথিবীর অভিশাপ আমি গ্রহণ করতে পারিব না আর,
দৃঢ় চিত্তে আমাকেই করতে হবে এর সংস্কার।
আমি মানুষ, আমি কাঁদতে জানি, জানি আবার হাসতে,
জানি বুকের সমস্ত ভালোবাসা একত্রিত করে আঁকড়ে ধরে রাখতে।
পৃথিবী খুঁজিয়া ফিরিয়া নিজেকে দিতে চাই তুলিয়া,
কোন সন্তানহারা জননীর বুকে
অথবা হাসি ফোটাতে চাই জননী হারা সন্তানের মুখে।
আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই! অবনতমস্তক সমস্ত জরাজীর্ণ ভেদ করে হউক উত্তোলিত, উদ্ভাসিত।
আর আমার দেহের সমস্ত রক্ত চুষে পৃথিবী হউক পরিপুষ্ট। —