জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে
পৃথিবীটা কি সত্যিই ছোট হয়ে যাচ্ছে আমার কাছে
যা দেবার ছিল পেরেছি কি দিতে
অথবা যা নেবার ছিল পেরেছি কি নিতে
একটু শব্দ হলে বা হঠাৎ কেউ পাশে এসে দাঁড়ালে
নিজের অজান্তেই চমকে উঠছে সারাটা দেহ ও মন
ভূলে যাওয়া কথার মালা কে সাজাতে হচ্ছে
কাগজ আর কলমের আঁচড়ে
বৃষ্টিহীন প্রখর রোদে ফেটে চৌচির হওয়া জমির মত
অনুর্বর হয়ে পড়েছি আমি
অনাবাদী জমিতে আর হবেনা
শষ্যের ঘ্রান পাওয়া
এখন আমার সাথে বসবাস করছে
এক ছিপি বিষন্নতা
এটা কি শুধুই বিষন্নতা অথবা
কিছু না করতে পারার অপারগতা
না কি এটাই জীবনের স্বাভাবিকতা
জীবনের অবিচ্ছেদ্য এই পর্যায়ে এসে
স্বার্থপরের মতো এখন শুধু
আমি নিজের কথাই ভাবি
অন্য কারোর ভালো চাওয়ার থেকে
নিজের ভালো থাকাটা এখন মস্ত জরুরী
কয়েক বছর আগেও কোন অবিচার দেখলে
মনের ভিতরে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠতো
আর এখন আমার খেয়ালী আবেগী মন
অভিমানের পাহাড় তুলে নিরবে দিন গোনে
অসম্ভব রকমের এক মনস্তাত্ত্বিক
লড়াই করে চলেছি প্রতিনিয়ত
সংসারের খোলসে জড়িয়ে রাখলেও
হয়তোবা বেমানান হয়ে যাচ্ছি
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে
তবুও মনের মধ্যে আশা জাগে
এখানেই সব শেষ নয়
গৃহস্থের ধানের গোলায় নেংটি ইদুর এর
মতো লুকিয়ে থাকা নয়
বয়সের ভারে নতজানু হওয়া নয়
নিজেকে ভালবাসো জোরে জোরে শ্বাস নেও
আরোও একটু শান্তি আর সস্তির
বাসযোগ্য করে যাও এ জগত টাকে
ফেল না হারিয়ে স্বপ্ন কে
এখনো বহুদূর যেতে যে হবে তোমাকে