এখন যুদ্ধ না শান্তি স্পষ্ট করে বুঝতেই পারি না
ভেবেছি পুণ্যাহে বিঝি স্বর্গতেরা একত্র হয়েছে :
বিলাচ্ছে করুণা আর অভিজ্ঞতার শুধু সুনির্বাচিত সমাচার
সূর্যান্তিকে, কিন্তু যেই একটি রশ্মির খুব কাছে
ঘেঁষে দাঁড়িয়েছি দেখি গোধূলি নিলাম করছে ওরা …..
হেমনেত না শীত কিছু বোঝা যায় না : আকাশের কালো
গহ্বরে হঠাৎ দেখি দু-ঋতুর দ্বৈরথ কেমন
সুন্দর অথচ খুব অবান্তর — শীত ও ফাল্গুনী
যেমন রূপকনাট্যে লড়ে শেষে আম্ফিথিয়েটারে
পক্ষপাতগ্রস্ত কোনো পরিচালকের মর্জি বুঝে
এ ওকে জিতিয়ে দেয়, সেরকম নয়, এরা শুধু
নশ্বর মানুষকে যেন স্থির হয়ে থাকতে দেবে না,
সুতরাং অমীমাংসা রেখে দেয় — সে-ও তো সুন্দর!
তবুও বিষদ করে বাঁচার এলাকা আমি যদি
সংজ্ঞার ভিতর দিকে টেনে আনতে না পারি, তাহলে
দারিণ দুর্গতি সে যে! এই ভেবে মাটি ও আকাশ
আমার দু-দিকে রেখে মাঝখানে দাঁড়িয়ে দেখতে পাই :
মেঘ এসে সন্তর্পণে খড়ের পালুই ছুঁতে চায়,
খড়ও কিছু বলতে চায়, কিন্তু কিছু বললেই আঘাত
দিতে হয়, তাই বড় সংযত রয়েছে স্তুপাকারে ;
এভাবে শান্তিকে বুঝি কখনো অক্ষত রাখা যায়?
যুদ্ধ ঠিক শেষ হয় নি, অথবা এখন শান্তি শেষ …..
[A]