কবিকে দুঃখ দিওনা হে নারী
লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে দিতে পারে সে,
রটিয়ে দেবে গ্রহ, নক্ষত্রে
গ্রামে, গঞ্জে, শহরে, বন্দরে।
এগুতে পারবেনা এক পা’ও
পেছানোরও পথ বন্ধ পাবে।
কবিকে দুঃখ দিওনা মেয়ে
এলোমেলো সব ঘটিয়ে দেবে সে,
হিরোশিমা নাগাসাকির মতোই
আরেকটি কলঙ্ক
রচিত হবে পাতায় পাতায়।
লুকোতে পারবেনা নিজেকে
শান্তি পাবেনা কিছুতে,
এগুতে পারবেনা এক পা’ও
পেছানোরও পথ বন্ধ পাবে।
কবিকে কষ্ট দিওনা বালিকা
হৈচৈ বাধিয়ে দিতে পারে সে,
কফি হাউজের আড্ডায়,রেস্তোরাঁয়
বইমেলায়, চায়ের টেবিলে
তোমার নামে ঝড় উঠবে।
নদীর স্রোত, সবুজ বৃক্ষ
চাঁদ,তারা,ফড়িং,প্রজাপতি
দুয়ো দেবে তোমায়,
অভিসম্পাত দেবে তারা।
এদের সাক্ষী রেখেই যে একদা তুমি
ডেকেছ আমায়, জড়িয়েছ আলিঙ্গনে।
এমনকি বাড়ির সামনের
যে ল্যাম্পপোস্টের বাতিটি,
তীব্র তাকিয়ে রবে তোমার দিকে,
তুমি ঘুমোতে পারবেনা,ঘুমোতে পারবেনা,
জেগে থাকলেও পাবে নিদারুন কষ্ট।
তাই বলি শোনো মেঘকন্যা
দুঃখ দিওনা, দুঃখ দিওনা
কবিকে কষ্টে রেখনা।।
তোমায় সবই দিতে পারি
সুশান্ত
আমার ভালোবাসার নারী
তোমায় সবই দিতে পারি
নয়ন উপড়ে নীল পদ্ম
এ মন খুঁড়ে আকাশ বারি ।
তোমারই জন্য আদিম নারী
কত শত শত অত্যাচারী
মাড়িয়ে গিয়েছে কোটি কোটি শব
রক্তে ভরেছে তরবারি ।
বল তুমি ভালোবাসার নারী
তোমার প্রেমে যে অহংকারী
সে প্রেম হঠাৎ নিভিয়ে দেবে
কোন সে কঠিন হত্যাকারী ?
আমার ভালোবাসার নারী
তোমায় সবই দিতে পারি
হৃদয় খুঁড়ে রক্তগোলাপ
জয়ের জন্য সে তরবারি ।।
আঁখিকে ~ কবিতা দুই
সুশান্ত
আমার শিরায় শিরায় ছড়িয়ে
আছে অভিমান –
আমার ধমনীতে বয় প্রেম ;
আমার রক্তে রক্তে উচ্ছলিত
তোমার নাম –
আমার বুকে কান্না ঝরায় প্রেম ।
এবার শুরু হৃদয়েতে রক্তক্ষরণ
এখন আঁধার, এখন আমার
কাছে এসো;
অন্ধকারে ফাঁদ পেতে আছে
আমার মরণ –
আঁখি আমার –
মৃত্যুর চেয়ে আমায় তুমি ভালোবেসো ।