প্রতিবাদী শব্দ গুলো
আজ বিলুপ্তির পথে,
ফসিলস এর আকারে অভিধানের দেওয়াল আঁকড়ে বেঁচে আছে।
আর আমি?
মমি … জেগে উঠি মাঝে সাঝে
মুঠো বন্দি ওই প্রতিবাদী শব্দ গুলো ছুঁড়ে মেরে ছিলাম রাষ্ট্রযন্ত্রের মুখের ওপর।
আজ আমার আপসের সাথে সহবাস,
বাচ্চাকে তবু দিয়ে যাই আশ্বাস!
নতুন দিনের, নতুন সূর্য্যের, অথবা সাদা গোলাপে;
অবুঝ সরল খুদে চোখ দুটো ডুবে যায় ‘পাগলের প্রলাপে’
আজও মাঝ রাতে
ঘুম ভেঙে যায়,
ছুটে যাই
যদি পাই,
কোনো খালি দেওয়াল
তাহলে আরও একবার নিঃশব্দে
ঠুকে দেবো প্রতিবাদী কিল,
আশ্চর্য !
সব দেওয়াল জুড়ে খোদাই করা শিলালিপি,
“নো স্টিক বিলস”;
গলি ঘুঁজি ছেড়ে
চলে আসি
সেই চেনা রাজপথে,
সেখানেও দেখি …
মাথা নিচু করা জনতা পথ চলে এক সাথে!
স্মার্ট ফোন সব হিসেব গুলো গুলিয়ে দিয়েছে,
আজ আর শাসক বনাম শোষকের নয়,
এখন শুধু লড়াই
নিজের স্বার্থ টুকু হারাবার ভয়।
একটা পাবলিক টয়লেট খালি পেয়ে ঢুকে পড়লাম,
উগ্র পেচ্ছাব এর গন্ধকেও উপেক্ষা করে বহু মানুষ তাদের প্রতিবাদের ভাষা লিখে রেখে গেছে দেখলাম:
“রাষ্ট্র যন্ত্রের যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তিনি আজ মূক বধির”
আসলে
সবাই রাগে ফুঁসছে
রাষ্ট্র মাতা পিতা হাসছে।
শুধু ফেটে পড়তে পারছে না
দেওয়াল জুড়ে সরকারের শীঘ্র পতনের গল্প!
সবাই একে একে নির্দ্বিধায় সেই মুখে পেচ্ছাব করে দিচ্ছে!!
এ যেনো প্রতিবাদের এক অন্য রূপ,
চলছে চলবে, গোপনে, আড়ালে, সাবধানে।
বাড়ি ফিরে এলাম,
দেখি খুদেটা তখনও ঘুমোচ্ছে,
কি সুন্দর, শান্ত, নিশ্চিন্ত, শান্তির ঘুম,
ওর তুলতুলে হাত দুটো নিজের মুঠোয় ভরে নিলাম,
আপন মনেই আউড়ে গেলাম,
“আমায় ক্ষমা করিস, তোকে সুন্দর পৃথিবী দিতে না পারার জন্য,
তবে পাবি, একটু সবুর কর, ওরা আসছে, আমি সুনামির শুরুটা দেখে এসেছি”!!