পাথর হওয়া মূর্তিগুলি শোকে মুহ্যমান,
ভাষাহীন ঔদাসীন্যে হতচকিত,
অবিশ্রান্ত অশ্রুধারায় অপেক্ষমান….।
শববাহী গাড়িতে আসছে,
জাতীয় পতাকায় ঢেকে, তাদের গর্বের প্রিয়জন,
দেশমাতৃকার রক্ষায়, উৎসর্গীকৃত মহান জওয়ান।
মানুষের সৃষ্ট রাষ্ট্র,
মানুষের মস্তিষ্ক প্রসূত সন্ত্রাসবাদ,
মানুষেরই নিরাপত্তাকে চোখ রাঙিয়ে, যত্রতত্র
নির্বিচারে গণহত্যার অনুমতিপত্র।
ইন্ধন যোগাচ্ছে, সামরিক অস্ত্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা,
অনুন্নত, উন্নতিশীল রাষ্ট্রগুলিকে,
ধাপে ধাপে ঋণের ফাঁদে জর্জরিত করে,
বৃহৎ শক্তিগুলির সর্বব্যাপী শোষণ প্রতিযোগিতা।
এ কোন মহাকালের অশনি সংকেত?
মুহুর্মুহু সাইরেন আর ক্ষেপণাস্ত্রের চরম আঘাত,
অর্থের অপচয় আর প্রাণহানির নিরন্তর অভিঘাত।
পৃথিবীর পরিমণ্ডলে দূষিত বিকিরণের নাভিশ্বাস,
দুর্ভিক্ষের রোষানলে, জীবিত প্রাণের নিরন্তর দীর্ঘশ্বাস,
অনিবার্য ভবিষ্যৎ, কিভাবে এড়াবে সর্বনাশ?
আগামী প্রজন্ম, অনুভব করবে কি কোনও দিন?
তাদের পূর্বসূরিরা, একদা কাটিয়েছিলেন শঙ্কাহীন দিন।