Skip to content

বুলুর পাগলামি আব্দুর রহমান আনসারী

বুলু আমার জ্ঞাতি ভাই। স্থুল বুদ্ধির মানুষ। চলতি কথায় পাগল। সেই বুলু স্কুলে পড়া না পারায়, মাষ্টার মশাইয়ের মারের প্রতিশোধ নিতে ক্লাসেই মাষ্টার মশাইকে মেরে সেই যে স্কুল ছেড়েছে আর স্কুল মুখো হয়নি। আমাদের বুলুর জীবন নানান পাগলামিতে ভরা। একটি বলি। বুলুর বয়স তখন বড়জোর এগারো হবে। তখন আমাদের এলাকায় বিদ্যুলৎ আসেনি। হ্যা রিকেনের আলো একমাত্র ভরসা। শরৎকাল। আমাদের এলাকা তখন গ্রামই। গভীর রাতে বুলু ঘুম থেকে জেগে উঠে জ্বলন্ত হ্যা রিকেন নিয়ে, ঘর থেকে বের হয়েছে, প্রস্রাব করতে। বেড়িয়ে দ্যা খে ঘরের বারান্দায় দুজন লোক , বারান্দায় রাখা, সাইকেলের কাছে বসে কী যেন করছে। বুলু দেখেও দেখেনি। প্রস্রাব করে ফিরে ওদের দেখে জিঙ্গাসা করে, এখ্যােনে আনধারে কী করছেন, হ্যা রকেন নেন, এই বলে ঘরে ঢুকে ঘুম। সকালে দ্যা খা যায় যে, হ্যা রকেন সহ সাইকেল উধাও। সবাই হায় হায় করছে। চুরি ও চোরের সাহস নিয়ে কথা বলছে। বুলু নির্বিকার। থানায় খবর দেওয়া হলে, পুলিশ তদন্তে আসে। তখন বুলুই রাতের ঘটনা বলে ও আরও বলে যে ওধের আনধারে কষ্ট হছিল তাই আমি আলো দিয়ছিনু। আমার কী দোষ। এরকম অসংখ্য পাগলামীতে ভরা বুলুর জীবন।

রচনাকাল………..১৭/১০/২০২০

মন্তব্য করুন