আমাদের আছে ইতিহাস বহুকালের প্রাচীন,
স্বাধীন আমরা তাইতো থাকিনি কারো অধীন।
রামমোহন,রায় বল্লভ আর সিরাজউদ্দৌলা,
ইতিহাস তাদের কখনোই করবেনা অবেহেলা।
পলাশীর সংগ্রাম,সিপাহি বিদ্রোহ আর নীল দমন,
এই প্রতিবাদ গুলোই আমাদের স্বাধীনতার দর্পন।
সাতচল্লিশ,বায়ান্ন,উনসত্তর আর একাত্তর,
এদের উপরই আমাদের বিজয় ছিল নির্ভর।
মুজিব, তাজ উদ্দিন, জিয়া আর ভাসানী,
এ.কে.ফজলুল হক,সৈয়দ নজরুল ও ওসমানী।
রফিক,শফিক,জব্বার বরকত, আর সালাম,
বায়ান্নতে খসে পড়া একেকটি অক্ষরের নাম।
মীর জাফর,ঘসেটি বেগম আর খন্দকার মোস্তাক,
এরাই হলো বিশ্বাসঘাতক ইতিহাসে এদের ডাক।
গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরৎ, হেমন্ত,শীত আর বসন্ত,
বাঙালি জীবনে আবহমান এরা অনন্ত।
রবীন্দ্র,নজরুল,জীবনানন্দ আর জসীমউদ্দিন,
আমাদের সাহিত্য আজীবন তাদের অধীন।
শরৎচন্দ্র,সুকুমার রায় ও মানিক বন্দোপাধ্যায়,
এরাই সাহিত্য ও সংস্কৃতি উজ্জ্বল অধ্যায়।
সমুদ্র,পাহাড়, ঝর্ণা, নদী আর বাংলার আকাশ,
ফুলে ফুলে ভরে যায় আর সুভাষ ঘ্রাণে বাতাস।
শস্য শ্যামল, সোনালী ফসল, আর নদীতে মৎস,
মাছে ভাতে বাঙালি এইতো আমাদের উৎস।
আহসান মঞ্জিল, বৌদ্ধবিহার আর ষাটগম্বুজ,
প্রাচীন বাঙালির নিদর্শন এসব বাংলার সবুজ।
জমিদার বাড়ি,লালকেল্লা আর প্রাচীন নিদর্শন,
বাংলায় হয়েছে আমাদের ঐতিহ্যের বর্ষন।
শহরের বাঙালি, গ্রামের বাঙালি আর আদিবাসী
হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান বিপদে এগিয়ে সবাই আসি।
জাতি আমরা সবার সেরা পুরাই বাঙালিয়ানা,
শিক্ষা,সাহিত্য, সংস্কৃতিতে পুরাই ষোলো আনা।
কবি আপনার কবিতায় ফুটে উঠলো মানবতার। এই মানবতা টাই আছে ভারত বর্ষে হাজার স্মৃতি ঘেরা