হে নন্দিনী ,হে সুশ্রী তুমি কি মায়ায় বাঁধিয়াছ মোরে,
আঁখি যে আমার ছলছল নিদ্রা নাহি ধরে,
আমি যে আঁধার রাতে গগনতলে ইন্দু মাঝে তোমারে দেখি,
আমি যে স্রোতস্বিনী জলতরঙ্গে তোমার শব্দ শুনি,
আমি যে দিবা অবসানে তোমারেই খোজি
আমি যে ধরিত্রী ঘিরে জনশূন্য ভীড়ে তোমারেই দেখি।
হে মেয়ে,হে বরাঙ্গনা তুমি যে মোরে অজানা বাধঁনে বাঁধিয়াছ ,তার কি নেই অবসান,
তোমার হস্ত বাড়িয়ে দাও, নয়নরঞ্জন মতো নিষ্কৃতি চাই,
আমি তোমার দর্শনেন্দ্রীয় প্রেমে অতলে হারিয়ে যেতে চাই,
আমি ছুঁয়ে দিতে চাই তোমার ওষ্ঠাধর,
আমি সুগন্ধি মাখতে চাই তোমার কুন্তল গন্ধে।
হে অঙ্গনা হে কান্তিমতী
আমি চন্দ্রিকার মতো ছিটিয়ে থাকবো তোমার ছায়া তলে,
আমি সকল ঘাত-প্রতিঘাত কুসুম মালাই বরণ করবো।