আমি, কীরকম জলজ স্পর্শ ছাড়া বেঁচে থাকি,
পাষাণ দেবতা হয়ে, পড়ে থাকি জমাট ধূলোয়;
এ খবর জানে না কেউ, রাখে না শীতল স্পর্শ,
বুকের পাঁজরে, জমে ওঠা সবুজ ঘাসের নিচে!
দেহের চামড়ার ভিতর সমুদ্রের ঢেউয়ের তান্ডব,
মরুভূমির কাঁটাগাছের একাকী গভীর দীর্ঘশ্বাস;
নিবৃত্তির জলোজলে স্নাত আত্মার অনন্ত বিরহ,
অন্তহীন প্রগাঢ় প্রণয়, প্রাণের ভেতরে শ্বাসরুদ্ধ!
আহত সময়ে, ক্ষয়ে যাওয়া দুপুরে স্মৃতির মরণ,
বেদনার সমাধীতে, আগমনীর অন্তর্লীন শূন্যতা;
অমোঘ সততার পাতায় সঞ্চারিত চোখের জল,
প্রতিদিন ঠোঁটে রক্তের দাগ নিয়ে চুমুর আস্বাদ!
কবিতার অভ্যন্তরে কষ্টের চুলচেরা ভাগাভাগি,
বৃত্তবন্দী মধ্যবিত্ত মুখোসের বৃত্ত ভাঙার কাহিনী;
শ্মশান শুন্যতায় ভীষণ একা আমার বেঁচেথাকা,
প্রতিদিন বিশ্বাস গলে একটু, একটু মরে যাওয়া!
নিস্তব্ধ উপশিরায় শ্বাসটান, লীলায়িত অন্ধকার,
স্মৃতির বাতাসে ধূলো মেখে মৃত্যুখিলানে উন্মাদ;
প্রজ্জ্বলিত হই, নিভে যাই পুনরায় উজান যাত্রায়
অপেক্ষার সূর্য্য বড় শীতল, হিম ফেলে চামড়ায়!
প্রতিদিন আশাহত আমি, দূরে তারারা ঝরে যায়
চতুর্মুখী বর্ষা স্নান করিয়ে দেয় ম্লান চেতনানগরে;
বেঁচে থাকা, অমরতায় মুখ রেখে কঙ্কাল গ্রন্থিতে,
অঙ্কুরিত প্রেম বন্দনায় আমি, নক্ষত্র অভিলাষে!