দোয়েল পাখির একটি সাদা কালো পলক
একটি প্রজাপতির রঙিন দুটো পাখনা
দুঃসময়ে একরত্তি হীরার থেকেও দামী
আলো আর আঁধারের মুখোমুখি বসে নির্জনে সেকথা নিরালে একাকী ভাবী।
চিত্র কি আঁকা নয়? কালো সাদা রঙের
দু’টি পাখনা এঁকেছিলাম বাতাসে মেলে
ভাবিনি সেদিন একথা এবার বুঝে এলে
ডানাভাঙা আহত পাখি,ফিরেনি নিড়ে।
কাঁচারি ঘরের বারান্দা জুড়ে বেঁধে ছিলে টুনটুনি বাসা,সে কি তার সুখের নীড়ে খাসা,
ঘরে আমার মন থাকেনা,ফেরার ইচ্ছে নেই
প্রাণের আজ বড় একটা দুঃখ বেঁধেছে বাসা
সে জানেনা চিরকালের আপন টুনটুটি তার বাসা।
ভালোবাসার আর মৃত্যুর মাঝে ব্যবধান কত?
দেখিনি তারে কখনও,এইতো বিদায় বেলা চেনা,
আকাশ আর পাতালের মাঝে কতটা দুরত্ব
সে কথা ভেবেছিলাম কবে,মনে পড়ে না
আমার কাঠের পাখার রক্ত ঝরে,দুঃখ ফুরায় না,
এমন করে আর কতকাল তার আশায় থাকবো
বুকের ভিতর কষ্টগুলো যন্ত্রণা দেয় বিষণ
ভালোবাসা যদি এত দুঃখের হয়,তবে কি?
বিরহ অন্তরালে কি হয়? করিনি সমীকরন
একথা জানেকি কোন প্রেমিক পুরুষ?
নদী আর সাগরের আলিঙ্গনে মিশে যায় মোহনায়
পথিকের পথ শেষ হয়না তো,তবে কি এ জনম?
আমাকে সয়তে হবে এ বিষণ বিধুর বেদোনা,
ভালোবেসে কে বেঁধেছে সুখের ঘর,খুজি তাহার ঠিকানা।
রুপান্তর করিয়া যদি দুঃখ হয় ভালবাসা
ক্লান্ত পথিক যদি খুজে পায় পথের ঠিকানা
কবলি আমি পাল্টে ধূসর কালো রঙের
পৃথিবী থেকে নির্জনে একা,
দেখবো তুমি কেবল আমাকে খুজে মরিয়া হয়ে,
পাবে নতুন কোন সুখের ঠিকানা,
ভালোবাসার পথ জুড়ে তোমার রহিবেনা
কোন বাঁধা।
থাকবে শুধু অন্তরে ছবি আঁকা।