Skip to content

এ মোর মুনাজাত- মোঃ নাঈম মিয়া

একদা,
মোল্লা দিয়া পড়াইতেছিল আহমেদের বাড়ি
কত ওয়াজ মাহফিল করিলো একের পরপরি।
তাহাদিগ বাড়িতে নাকি অশুভন হাতছানি
বাড়ি করিবে পবিত্র করে লয়ে সৎ বাণী।
সবশেষে এলো এবার মুনাজাতের পালা
গরমে মোল্লা ঘামছেন বলে পাখায় বাতাস
দিচ্ছে সেই আহমেদের পোলা।
তাহার মাঝে আছে জ্ঞান, কবে কী বলিতে হয়
ন্যায় পথে চলিতে হইবে অন্যায়ে নয়।
মোল্লা কহিলো পোলাকে, হে খোঁকা
আমাকে নাহি ক আর পাইল দিতে হবে,
যাও এবার তুমি মুনাজাতে সামিল হইবে।
মুনাজাত পড়িলে তোমার হইবে কল্যাণ
সত্যের পথে দাও তুমি করে জীবনদান।
খোকা,
হুজুর কহিতে পারিবেন আমায় মুনাজাত কাহাকে বলে?
তবে এতটুকু জানিতে পারিবো সত্যের দ্বারগুলে।
আপনারে আমি দিতেছি আয়েশ ভালো লাগিতেছে
তাহলে কহেন মোর মুনাজাত কিসে।
এই বিশ্বে কত পাপ তাপ কত পাপী চাহে ক্ষমা
আমি পাপ কাজ করিতেছি নহে কী তাহার উপমা,
হস্ত তুলিলেই নাহি হয় মুনাজাত কখনো কোন কালে
হৃদ দেহ থাকিলে সত্য কাজ হবে মুনাজাত করিলে।
আমি নহে হস্ত তুলিলুম হুজুর পারিলুম নাহি এবার
এখন মোর শ্রেষ্ঠ কর্ম সেবা করা আপনার।
মোরে করিবেন ক্ষমো হুজুর হইলে অন্যায়
মনে মনে করি মুনাজাত হস্ত তুলিয়া নায়।
আপনি মুনাজাত আরম্ভ করুন হস্ত তুলিয়া
মোর মুনাজাত হবু মন সপেঁদ করিয়া।
মোল্লা কহিলেন;–
বাপু নহে আমি তোমায় জোড় করিবো
নহে জোড় করি তোমায় আমি মুনাজাত পড়াইবো।
কোথা হতে পেলে খোকা এত্ত ভালো বাণী
যাহা এখনো আমি কিছু নাহি জানি?
তবে, তুমি যাহা কহিয়াছ সত্য বটে বাপু হে
সু শিক্ষায় মস্ত তোমার চির উন্নত রবে।

রচনাকাল-০৭ ই নভেম্বর ২০১৮

মন্তব্য করুন