Skip to content

আত্মারাম বেচারা-শুভশ্রী রায়

এ জন্মে নিশ্চিত করে আমার ধর্ম হয় কাব্য
নিয়মনিষ্ঠ পুজো আর বারেবারে বারের উপোস
ইত্যাদি নিয়ে সুদূর পরের কোনো জন্মে ভাবব,
এমন কথাও আমি পাপ মুখে পারছি না বলতে
সবাই যে ভাবে চলে, চালু সে ধর্মের পথে চলতে
এত মারধোর খেয়েও এখনো সাচ্চা উৎসাহ নেই
অথচ কী কান্ড! সে কথা সাহস করে বলতেই
সেনার মতো সেয়ানা ধর্মীদের ঝাঁকে ঝাঁকে তীর
উড়ে এসে করে দেয় প্রাণটিকে ভীষণ অস্থির।
কবে থেকে এ সব সয়ে সয়ে আত্মারাম বেচারা
অতিষ্ঠ, হয়ে যাচ্ছেন যাকে বলে প্রায় খাঁচাছাড়া। 

চালুধর্মীরা কোনো মতে তিষ্ঠোতে দেবে না যেন
সমষ্টির কাছে একলা ধর্মপথের দাম নেই কেন? যৌথমত একককে গিলিয়ে ছাড়বে একেবারে
না গিললে একবার নয়, দেবে অজস্র সাজা রে!
আচ্ছা, চালাকদের চলা ধর্মের পথ জড় পছন্দ এমন কু-চালে যদি সত্যকে ভেতরে রাখতাম বন্ধ
আত্মার ওপরে নিতাম চালবাজদের মতো ধর্মপথ
কতটা দূর চলে যেত আমার অন্তর্গত ধর্মের রথ?

ধর্ম নিয়ে চাল মেরে কবে থেকে চালু পথে না চলা
সেই সঙ্গে অতিরিক্ত দুর্বোধ্য শাস্ত্রগত শত ছলাকলা
না মানলে আদৌ যদি হয় আলোচিত কোনো অপরাধ,
ব্যক্তিগত সেই সত্য লুকিয়ে অনন্তের প্রকৃত প্রসাদ;
কী করে আসতে পারে যে কোনো কারুর জীবনে?
ভেসে যাই, একেবারে ভেসে যাই আমি ধর্মের খালে
লঘু জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি প্রশ্নের প্লাবনে। 

মন্তব্য করুন