Skip to content

অণুজীব, রাখি দে

অণুজীব

অণুজীব জন্মায়,শতাব্দীতে,
মহাকাশ থেকে দেখা
প্রকট প্রাচীর ঘেরা রন্ধনশালায়,
যেখানে মুহুর্ত কে শাসিয়ে রেখে
জৈবাস্ত্র শানায়,
পৃথিবীর অধীশ্বর হওয়ার বাসনায়!

অথবা অণুজীব জন্মায় শতাব্দী তে,
নেহাতই আকাশ থেকে পড়া
আগন্তুক ধূমকেতুর মতো,
হঠাৎ ই পৃথিবীকে কায়েম করার,
রক্তে মিশে যাবার উচ্চাশা!

যেদিন সুদূর আকাশ ঢেকে গিয়েছিলো
মগজ থেকে ছোঁড়া
সার সার নিধন কৌশলে!
সেদিন ও প্রহর গুনেছিলে পৃথিবী,
অন্তিম শয্যার!
তবুও বরাভয় পাওয়ার মতো
তুমি শুনেছিলে অমৃত বাণী,
কুশলী নেতার হাত ধরে!
ভেবেছিলে বুঝি, এই শেষ,
সমীর সমরে লড়া!
কিন্তু তুমি গড়েছিলে যে,
তিল তিল করে, অমৃতেরই পুত্র,
তারই নিঃশ্বাসে মিশে আছে
মন্থনজাত বাষ্প এখনও!
তাই স্বপ্রকৃতিতে প্রকৃতি কেই
করে অবহেলা!
তাই আজ নিঃশ্বাসে মেশে
প্রকৃতির দীর্ঘশ্বাস!
পুণ্যতোয়া গঙ্গায় বয়ে যায়
ছেড়ে যাওয়া শরীরের নির্যাস!

মন্তব্য করুন