সূর্যটা উঠেছিল সেদিন প্রতিদিনেরই মতো তাপ নিয়ে,
গাছের পাতাগুলো ও জেগে উঠেছিল হনহনিয়ে।
আকাশে এক রঙিন নক্ষত্র জ্বলে উঠেছিল সেদিন,
বাতাসে এসেছিল সুভাষ ভরা ঘ্রাণ সারাদিন।
চারদিকে ফুটে উঠেছিল অজস্র ফুলের মেলা,
সময়ের সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল পরিবর্তনের লীলাখেলা।
জন্মের পর থেকেই এক এক করে কেটে গেছে অনেকগুলো বছর,
ভেবে কি কখনো দেখেছো ফুরিয়ে আসছে আয়ু কত প্রহর?
প্রতিটা বছর দিনটা ঘুরপাক খেয়ে আসে,
তবে দিনটার রূপ যায় পাল্টে নেয় ছদ্মবেশে |
মানুষ আসলে কতই না বোকা যদি ভাবি এক মনে,
পালন করে জন্মদিন কিন্তু দুঃখ নেই আয়ু কমছে জেনে।
সে যাই হোক, এবার ফিরে আসি কাজের কথায়,
দিনটার কথা হঠাৎ মনে পড়াই বসে পড়লাম কলম নিয়ে খাতায় ৷
আজ সেই দিনটা যেদিন ধরণীর বুকে এসেছিল আমার স্নেহময়ী এক সাথী,
তাকে যদি জানাতে না পারি শুভেচ্ছা আজকের দিনে তাহলে আমি দুঃখ জ্ঞাতী।
শুভ জন্মদিন আমার জীবনের এক পর্যায়ের সহযাত্রী,
বন্ধু-বান্ধব এরাই তো আমাদের স্নেহের পাত্র-পাত্রী।
আজ তোরই কথা ভেবেই বসেছি কবিতা লিখতে,
চাইছে যেতে মন পুরনো সেই রঙিন দিনে ফিরতে।
জানি হয়তো সেই দিনগুলো আর ফিরে পাব না,
তবে সেই স্মৃতিগুলো ভুলতে নেই কোনো মানা।
মনে পড়ে কি,তোর আর আমার দুষ্টমির কিছু মূহুর্ত?
ক্লাসে লুকিয়ে কথা বলায় স্যার যে দিত মার আর শর্ত৷
মনে পড়ে কি,টিফিনের ছুটিতে আম, বড়ই, তেতুলের সাথে গানের আসর?
ক্লাসে ফাঁক পেলেই করতাম কত গল্প,আহ! দিনগুলো আজ ধূসর।
মনে পড়ে কি,বৃষ্টির দিনের সেই রঙমাখা স্মৃতি?
যেদিন সবাই ভিজে করতাম কত যে গান আর প্রীতি।