Skip to content

অলক্ষ্যে আষাঢ় – শান্তময় গোস্বামী

টুপটাপ ভিজছে অলক্ষ্যে
মিছরিজলে গলা ভেজার মতো
বারান্দায় পা ঝুলিয়ে বসে আছে সন্ধ্যা –
দূরে মেঘলায় কাতর আকাশের দিকে চেয়ে,
চারপাশ ভীষণ স্যাঁতস্যাঁতে,
আর্দ্রতা আর ঢেকে রাখতে পারছে না দেয়াল ।
কতো দিন নেই অভিযোগ, ঝগড়া, নেই শরীরী সাইক্লোন.
নেই সেই আষাঢ়ে খেজুরে গপ্পো!
সুগভীর বেলার চেনা জানা সুরে
জমাট কান্নাগুলো খড়কুটোর মতো ভেসে যায়
স্নেহময়ী আঁচল নিয়ে আসেনা পলির জমাট!
জলমেঘ ঢেকে রাখে শৈবাল সবুজ
বেঙাচির চেঁচামেচি উর্বর রাখে
সংঘবদ্ধ উঁইযোনির ভিটেমাটি
ব্যস্ত আষাঢ়ে সাহসী ফ্যাদম গুনে রাখে
তলদেশের কম্পাস!
ফেরারি হাওয়ায় বৃত্তচ্যুত প্রজাপতি
মৌ-চোর মক্ষিকা!
ফিদা হুসেন খালি পায়ে কল্লোল তোলে
হিল্লোল বায় কদম ছাট চুলে!
নিলামি দামের আষাঢ় দিয়েছে
মেঘ মল্লার রাগ!
পশ্চিম আকাশে তখনও উজানিয়া মেঘ!
অথচ সাধের বাঁকাচরে তখন কেবলই ধোঁয়াশা!
উত্তরের মেঘ পুবে যায়
হেঁতাল-বেতালের ভীড়ে দাঁড়িয়ে
খোঁপার কাঁটা খুলে ফেলে মাদারের বন!
কুয়োতলায় জমাট শ্যাওলা
শ্যাওলা ভেজা রাতেই পা ফেলে
হিমালয় ভিজিয়ে আসা উড়ন্ত এলো মেঘ!
সে এলো বৃষ্টি মূখর করে!
চৌচির আষাঢ়ে খরা!
উচ্ছ্বাসে এলোমেলো করে দিলো
ঝড় প্লাবিত প্লাবন আর জলোচ্ছ্বাস!
ঝিরিঝিরি সন্ধ্যারমণ কেবলই
শিশ্নের খোলা আবরণে
খরা কেবল ভিজছে কেবলই ভিজছে
পথ ঘাট প্রান্তর বেমালুম ভিজছে
বেলায় অবেলায় ভিজছে বাউল বাতাস
আষাঢ় দহন!

মন্তব্য করুন