আমি ইশ্বর দেখিনি,তোমায় দেখিছি মা।
যার করুণার জন্ম আমার,পৃথিবীর আলো দেখা।।
যার শরীরের রক্তে-মাংসে,ছিলেম দশ মাস দশদিন।
এ জীবনে কোন কিছুতেই,শোধ হবে না মায়ের ঋণ।।
আমি ইশ্বর দেখিনি,তোমায় দেখেছি মা।
যার স্নেহকোলে স্বর্গ পেয়েছি,পেয়েছি শান্তি ছায়া।।
যার স্নেহের হাজার চুম্বনে,তিলে তিলে বেড়ে ওঠা।
যার আঙুলে ভরসা নিয়ে,প্রথম হাঁটতে শেখা।।
মাগো, তুমিই মা সরস্বতী প্রতিটি সন্তানের ভাষা।
তুমিই কন্ঠের স্বরবর্ণ,তোমার চোখে পৃথিবীকে চিনতে শেখা।।
ছেলে-মেয়ে কালো-ফর্সা,হিন্দু মুসলিম জাতির প্রভেদ।
তোমার কাছে সবাই সমান,সন্তানের নেই ভেদাভেদ।।
যুগে যুগে ঘরে ঘরে,প্রতিটি সংসার জুড়ে।
তোমার ত্যাগ-ভালোবাসা,সাগর সমান নেই সীমানা।।
তোমার ব্যথা তোমার ক্ষত,চিরকালই রয় লুকানো।
আমি ঈশ্বর দেখিনি,শুধু তোমায় দেখেছি মা।।
অভুক্ত থেকেছো তবু,মুখে তুলে দিয়েছো অন্ন।
কত নির্ঘুম রাত জেগেছো একা,সন্তানের ঘুমের জন্য।।
সকল ব্যাথায় তুমিই পাশে,মাগো তুমিই মমতাময়ী।
সকলি দিলে উজার করে,কিছু নিজের করে রাখোনি।।
হায়!এ কেমন যুগের রীতি,সন্তান সে মাকেই কষ্টদেয়!
মায়ের সে ত্যাগ-বলিদান,কেমন করে ভুলে যায়!
যে তোমায় পৃথিবী দিলো,রেখোনা তারে অবহেলায় ।
মনেরেখো ইশ্বর নয়,তুমি বেঁচেআছো সে মায়ের দয়ায়।।
বিশ্বব্রহ্মান্ড মাঝে,মাগো তুমিই প্রেমের দেবী।
তোমার স্নেহ-অমৃত সুধায়,জীবন সুখের স্বর্গভূমি।।
ওরা সবাই পাথর পূজে,কেন তোমায় পূজে না!
মাগো আমি ঈশ্বর দেখিনি,শুধু তোমায় দেখেছি মা।