ধানের খোলস
ছড়ালে যে মুক্তা বেরোয়
সেই কবে; কে যেন ভুলক্রমে
আমার নাম দিয়ে বলেছে, আমি নাকি “চাল”
স্রষ্টা কিভাবে প্রতিদিন
মুক্তা হজমের অভ্যাস করিয়েছে
মানুষকে; ভাবলেই সব কিছু হয় বানচাল
সেই মুক্তার সাথে ক্ষুধার কি অদ্ভুত সম্পর্ক!
মুক্তা ক্ষুধাকে বললো-
“পারো যদি বাঁচতে আমাকে ছাড়া
তবে বেঁচে দেখাও তো!”
জবাবে ক্ষুধা বললো-
“আমাকে ছাড়া তুমি তো মূল্যহীন!
আমি আছি বলেই লোকে
তোমায় এতো সমিহ
করে, নয়তো তোমার
কোন চাহিদাই
থাকতো না!”
চিৎকারে বলে উঠলো মুক্তা-
“বাজারে দেখেছো
আমার কত দাম!
কোনদিন শুনেছো
কেউ বাজার থেকে ক্ষুধা কেনে?
আমাকেই মানুষ কত যত্নে গাড়িতে করে,
মাথায় করে, এমনি ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে যায়,
আমাকে না পেয়ে কত মানুষ
কাঁদতে কাঁদতে মরেই যায়,
শোন, তাদের কাছের
আমার এক একটি ‘চাল’ হয়ে যায়
মুক্তার সমান। আমার হাসি পায় কি বলে, জানিস?”
“দোষটা তখন তোর-ই হয়
সবাই বলে- ‘ক্ষুধায় মারা গেছে’
আসলে তুই তো কাউকে বাঁচাতে পারিস না
দ্যাখ; সবাই আমাকে খেয়েই বেঁচে আছে
কিরে রেগে চলে যাচ্ছিস কেন?
যাহ্; অন্য কোথাও গিয়ে
কারো পেটে ক্ষুধা লাগাবি, এইতো? লাগা
তাতে আমার কি?
তখন আমি আরো ততো বেশি বেশিই
দামি হয়ে যাবো পৃথিবীতে
আগে ‘চাল’ ছিলাম
এখনতো আমি ‘মুক্তা’
এরপর হবো ‘হিরা’! তারপর
না জানি কতো কি! বাহ্!
ভাবতেই অন্যরকম লাগছে!”