Skip to content

তবুও অপেক্ষা

তবুও অপেক্ষা
—————এস.আই.তানভী

অবিশ্রান্ত ঝমঝম ছন্দে টিনের চালার উপর
বরষার গভীর রাত নেমে এলে
ঘুম ভেঙ্গে যায় আগেরই মতো বারবার।

বারান্দায় এসে দাঁড়াই মুঠোফোন হাতে নিয়ে
চিরচেনা ম্যাসেজ টোন যদি বেজে উঠে-
যদি সে লিখে পাঠায়- “আমি জানালার কাছে
দাঁড়িয়ে আছি, ঝরে পড়া বরষা দেখছি,
মাঝেমাঝে দমকা হাওয়ায় বৃষ্টির ঝাপটায়
ভিজে যাচ্ছি, বারবার শিহরণ দিয়ে উঠছি,
তুমি কি জেগে আছো না কি ঘুমিয়ে পড়েছো?

জানি, এমন বরষায় তোমার ঘুম ভেঙ্গে যায়
গল্প, কবিতা আর উপন্যাসে দৃষ্টিকে বন্দী করে রাখা
তোমার সহজাত স্বভাব——-।

চলে এসো জানালার কাছে; জানালার
ভেতর থেকে দেখবো- তোমার ভেজা মুখ
চুপসে যাওয়া চুল, বারবার কেঁপে উঠা সমগ্র শরীর
তুমি বৃষ্টির জল ধরে ধরে ছিটিয়ে দেবে, ধুয়ে দেবে
চোখের পাপড়ি, লাজুক লাজুক মুখখানি,
ভিজিয়ে দেবে কালো চুল, অবাধ্য ওড়না-
অনেকক্ষণ পরে বলবো- এবার বাড়ি ফিরে যাও সোনা।”

একের পর এক বরষা আসে, গত হয়ে যায়
হাজার বরষা, মেঘ বালিকাদের ডাকাডাকি
বিজলীবাতির ভয় দেখানো খেলা;
দাঁড়িয়ে থেকেই, আজও দাঁড়িয়ে থেকেই
ভোর হয়ে যায় প্রতিটা ঘনবরষা স্নাত রাত
চারিদিকে শুরু হয় পদবীধারী কর্মীদের দৌড়
ম্যাসেজ টোন বেজে উঠে না
কোন চিঠি আসে না হাজার বছর ধরে
তবুও বারান্দায় করে চলি পায়চারি।
———————–
২৬/০৬/১৮ইং ✍️

1 thought on “তবুও অপেক্ষা”

মন্তব্য করুন