Skip to content

মননে রবি ঠাকুর – রাজেশ সেন

হ্যাঁ গো ঠাকুর, বিগত সাতাত্তর বছর তুমি কিছুই লেখনি?
তবু আজ-ও তুমি বাঙালির জাত্যাভিমান?
আজ-ও বাঙালির সুখ-দুঃখ পূর্নতা খোঁজে তোমারই লেখনীর ভুবনে
আজ-ও দুই বাংলার হৃদয়ে ঠাসা তোমার-ই স্পন্দন।

প্রভাতের নতুন সুর্যের ছটা তোমার লেখনীতে পায় নতুন দিশা।
মধ্যগগণের সুর্য তোমার কবিতার আগুনে পায় নতুন ভাষা।
দিনান্তের সুর্য তোমার কবিতার ছন্দে হিন্দোলিত করে প্রাণ।
ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতেও তোমার লেখনী গেয়ে ওঠে জীবনের জয়গান।

এমন কোনো দিন তো কাটেনা,
যেখানে তোমার গান-কবিতা কণ্ঠে আসেনা?
জীবনভর তুমি যা লিখেছো,
তা পড়তে ও বুঝতে লেগে যাবে বেশ কয়েকটা জীবন।
আর কিয়দাংশ আত্মস্থ করতে পারলেই হবে মহামানবের জীবন।

জীবনের সব সুরেতেই তোমার রেশ।
বাঙালির চেতনা, বাঙালির মনন তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ।
আজো বাঙালীর জীবন জুড়ে তোমার-ই ছন্দের আবেশ,
বাঙালি মানেই রবি ঠাকুরের সোনার বাংলাদেশ।

যতই তোমার লেখা পড়ি বিস্ময়ে হতবাক হই।
এতদিন পরেও তোমার লেখনী কেমন করে কালজয়ী?
আপ্লুত হই যতবার শুনি তোমার প্রেমের উদাত্ত বানী
হিয়ার মাঝে লুকিয়েই জ্বালো আগুনের পরশমণি।

একবুক সংকল্পে দৃঢ় কর মন, দাও একলা চলার আহ্বান
‘নাই নাই ভয় হবে হবে জয়’, জাগায় প্রত্যয়, সংকোচ খানখান।
‘ও আমার দেশের মাটি’ চক্ষুমুদে সুরে ও বেসুরে গাই
সকল ব্যস্ততা মাঝেও তোমার পরে মাথা ঠেকাই।

জানি তুমি আর কোনোদিন লিখবে না নতুন কবিতা,
জানি তোমার নাটক আর দেবে না জীবনের নতুন বারতা।
জানি তুমি আর কোনোদিন গাইবে না গান।
তবুও কবি, তোমারই চরণে সঁপেছি মন ও প্রাণ।

মন্তব্য করুন