Skip to content

ছায়া- মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী

যে ছায়াটা কাঁধ বাড়িয়ে দেয়-
দাঁড়কাকটা বসবে বলে।
সেটা মিশে যাবে একদিন,
সন্ধ্যার পাড়ে রাত হলে।
অপেক্ষাহিন ছায়া,
কারো সেকেলে মায়া,
বেঁধে রাখে নিজেকে স্বপ্নে খেয়ালি।
একা এসেছিলো সে,
কে তারে নিয়ে হারালি?

শহুরে নিয়নে ভাসবে বলে,
জ্যোৎস্নাকে ছেড়েছে,
তাই রাতের ঝলমলে-
অগোছালো তারে কাছে টানে।
জ্বোনাকিরা ছেড়ে গেছে আরো বহু আগে,
সে নিজেও তা জানে।
অনেক বোঝায়,
সহ্য করে,
ষড়ঋতুর দিন কাটে,
প্রিয় বর্ষায় কদম ভেজে খোপাতে, আর-
বলে কানে কানে।
ছায়া শুধুই সেকেলে মায়া,
সে আর কতটাই কাছে আনে।

রাত্রিকালীন শহরে রাস্তা হয়ে ওঠে-
ধুসর নদীর মতো।
তদ্রা ঘিরে থাকে বাঁক খেয়ে ঘাটে,
যান্ত্রিকতায় শেষ হলে যাপিত দিন।
ছায়ামাখা শরীরে পেট্রোল পড়া গন্ধ,
নেশা হয়ে যায় রঙিন।
আমিষ প্রিয় পরীদের-
লবণাক্ত স্বাদে,
চকচকে ক্রিস্টাল ফোটে কপালের ঘামে।
জ্যোৎস্নাহীন সেঁতসেঁতে কবিতা-
চালান হয়ে যায় কোন হলুদ খামে।
অনুবাদে হারিয়ে যাওয়া কারো নামে,
যেনো ঠিকানাহীন কোন মায়া।
মধ্য রাতের হাসি ছুয়ে ছুয়ে যায়-
কংক্রিটের জংলী বেহায়া।
ছায়া, সে তো নিশূতি জায়া।

রাত্রি যাপনে যে ছায়ার কষ্ট,
জোছনাহিনা সে স্পষ্ট,
চন্দ্রভাগেও তার নাই কূল।
দিনপাতে যে ছায়া শক্ত,
দিবাকর তার ভক্ত,
মায়ায় জড়ানো তার ভুল।
প্রহর প্রেমিকার হারানো কানের দুল,
ভ্যানেটির প্রেম পোণা।
এলোমেলো ঘরের কোণে,
ছায়া তিন কোণা।
প্রথম বর্ষায় মেঘ জমে জমে বজ্রে-
ছাদ ঘেঁষে রুপালী বেলুন বিসর্জন,
বয়ঃসন্ধির প্রথম অর্জন।
সেদিনের সেই অবাক প্রতিরুপ,
আজ গভীর নিশ্চুপ,
শুধুই বালক্সুলভ হায়া।
ছায়া, সে তো শুধুই কারো মায়া।

২৪ মার্চ, ২০২৫
থম্পসন, ম্যানিটোবা
ক্যানাডা।

মন্তব্য করুন