সম্বোধনহীন কোন এক পুরনো গন্ধ-
কেবলি শীতল স্পর্শ করে যায়।
উদ্ধত তবুও স্নিগ্ধ নিরবতায়।
উড়ে উড়ে দূরে দূরে ভেসে,
যে তুষার ছাঁচ শেষ হয়ে যায় গলে,
সেও জমতে চায় ঘাসের তলে।
মিশে যেতে চায়-
ধরণির চিত্তরস হয়ে।
একান্ত আপনায়।
তেমনি বারে বারে-
যখন একা আধারে,
নিমজ্জিত উথলা কালোয়
তৃষ্ণার্ত গলা টেপা পাপ-
লাঞ্ছিত লালসায়,
দেয় তাচ্ছিল্যের অভিশাপ।
তোমাকে বলা হয়নি এমন অনেক কথা,
জমে গেছে বরফের মতো,
গলছে শতাব্দি ধরে।
তারাও অবিচ্ছেদ্য এই জীবনে,
সূর্যালোকের মতো প্রতিটি ভোরে।
শ্বেত শুভ্র মায়ার মোড়কে,
ক্রিস্টাল কান্তি প্রতিফলনে।
যেদিকে যাই, যেদিকে তাকাই,
আলস্যের শ্বেতপদ্ম স্খলনে।
বিষন্ন বিমুখ স্পর্ধা দেয় উঁকি,
প্রশ্ন করে হেসে,
আসলেই কি তুমি সুখি?
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
থম্পসন, ম্যানিটোবা
ক্যানাডা।