কল্পবিলাসী বসন্ত সন্ধ্যা এখানে,
ধুসর হয়ে গেছে সায়াহ্ন-
তুষারমৌলি গগণে।
ফুটেছে পলাশ,
ফুটেছে শিমূল,
শীতাতপ সংগোপনে।
বিষণ্ণ গোল চাকিতিতে বেজে যায়-
“Erik Satie – Gnossiennes- 1” অনবরত।
দুচোখে দেখি-
নিস্তব্ধতায় ভাসা ভাসা জলে,
তুমি ক্রন্দনরত।
খননের এই শহরে-
শিশিরে ধুয়ে ধুয়ে,
শীতের শেষে কংকাল গাছে গাছে-
জীবনের স্বাদ আসবে চুয়ে।
তুমিও আসবে এখানে,
আমার কংকাল কলেবরে-
ভালোবাসার রঙ ধরিয়ে,
বসন্ত দিবে ছুঁয়ে।
এসেছিলো অনেক, চলেও গেছে,
সূর্য গেছে, চন্দ্র গেছে,
নক্ষত্র স্নানে মুদ্রিত হয়ে-
কুমেরুজ্যোতি দেখা যায় বার বার।
রেখে যায় গভীর আকাশ আমাদের চোখে,
আরো একটু হারাবার।
শিমুলের অলীক ডালে ডালে-
অপেক্ষায় অবাচী দাঁড়কাক।
খোপা খোলা বাসন্তী ঢেউয়ে,
ভেসে গেছে কলরবে-
চিরহরিৎ এর বাঁক।
যা কিছু হারিয়েছি,
যা কিছু হারাবো বলে-
দুহাতে বাড়িয়েছি।
তার সবই আজ-
আপন মনে সেজেছে,
বসন্ত এসে গেছে।
বসন্ত এসেছে বহুসহস্র যোজন দূরে,
এসেছে নেমন্তন্ন ঘুরে ঘুরে।
বরফ গলা আঁচলের পাড় ধরে।
ভাজ খোলা রুমালের পরে,
তোমার শহর ছেড়ে-
তুষারধবল আমার শহরে,
বসন্ত এসে গেছে।
……………………………
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
থম্পসন সিটি, ম্যানিটোবা।
ক্যানাডা।