বাঘাবারো তন্ত্রের গঠনতন্ত্রঃ তাৎপর্য- ২ ( কবিতা- ৩০,৩১,৩২,৩৩)
গনতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, সমাজ তন্ত্র, সাম্যবাদ । এসব তন্ত্র এখন ক্ষমতার দাপট। গবীর মানুষের দুঃখ নাশ হয় না। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে দেশে হরতাল, জ্বালাও পোড়াও,গুমখুন গ্রেফতার, নির্যাতন হয় ফলে দেশের রাজস্ব ও ভু-রাজনৈতিক, কূটনীতিক, দেশের উন্নয়নে ধস নেমে আসে এবং দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্ব গতি, কর্ম সংস্থানের অভাব। চারদিকে হাহাকার, গরীবের সংসারে আর্থিক অনটন। ফলে গরীবের অসুখ বিসুখে নাজেহাল অবস্থা। বিশৃংখলা চারিদিকে। তাই এসব তন্ত্র বাদ দিয়ে ” বাঘাবারো তন্ত্র রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করলে দেশে ১০০% শান্তি ফিরে আসবে।
এ ব্যবস্হায় দেশের এমপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন কারী সকল দল মিলেমিশে সরকার গঠন ব্যবস্হা। এবং সব দল মিলেমিশে দেশ পরিচালনা করা। যার জন্য বিরোধী দল থাকে না। বিরোধী হিসাবে বিল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১১ জন পার্শ্ব নায়ক বিরোধিতা করতে পারবে কিন্তু বিল ও পরিকল্পনা পাশ হলে ১১ জন পার্শ্ব নায়ক মহান নায়ক কে দেশ পরিচালনায় সাহায্য করবে। তবে পাশকৃত বিল ও পরিকল্পনা দেশের ও জনগণের উন্নয়নে ভুল বলে মনে হলে উক্ত বিল ও পরিকল্পনা স্থগিত করে পুনরায় আহবায়কের মাধ্যমে নতুন ভাবে বিল ও পরিকল্পনা পাশ করতে হবে। কূটনীতিক ও যুদ্ধের ক্ষেত্রে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আর এটা মহান নায়ক ও ১১ জন পার্শ্ব নায়ক এবং ৪ বাহিনীর প্রধান মিলে সিদ্ধান্ত নিবে। তবে হটাৎ আক্রমণে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত বীর প্রধান ( সেনা প্রধান) নিবে, দেশ,জনগণ রক্ষার্থে।
বাঘাবারো তন্ত্র অর্থ শান্তি ভাবে দেশ পরিচালনায় বারোটি তীব্র কলাকৌশল। অর্থাৎ বরোটি তীব্র শান্তির কলাকৌশলের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরি চালনা করা। বরোটি তীব্র কলাকৌশল মানে বারোটি পদক্ষেপ। ১) প্রধান মন্ত্রী নাম পরিবর্তে মহান নায়ক নামে থাকবে এবং মহান নায়ক সর্ব ময় ক্ষমতা বান। মহান নায়কের সহযোগী ১১ জন পার্শ্ব নায়ক থাকবে। নির্বাচনে অংশ গ্রহন কারী সব দলের ক্রমানুসারে বেশি এমপি প্রাপ্তি দলের প্রধান মাহান নায়ক হবে। তারপর অন্য সব দলের নির্বাচিত এমপি দের প্রধানেরা এমপি সংখ্যার ক্রমানুসারে ১১ জন মহান নায়ের পার্শ্ব নায়ক থাকবে।
এ সূত্রটি ৩:২:১:১:১:১:১:১:১ অর্থাৎ নির্বাচনে জয়ী প্রথম ৯ দলে যাঁরা বেশি এমপি প্রাপ্তি তাদের দলের ৩ জন দ্বিতীয় বেশি এমপি প্রাপ্তি দলের ২জন এরপর আরও ৭ দলের ১ জন করে ৯ দলের ১২ জন প্রধানের মধ্যে বেশি এমপি প্রাপ্তি দলের প্রধান মহান নায়ক হবে বাকি ১১ জন পার্শ্ব নায়ক থাকবে। পার্শ্ব নায়কদের মতামত পেলে মহান নায়ক তার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারবে আর ১১ জন পার্শ্ব নায়কে মধ্যে ৬ জন বাঁধা দিলে মহান নায়কের পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যাবে। তখন পুনরায় আহবায়ক ( স্পিকার) এর মাধ্যমে প্রস্তাব উপস্থাপন করতে হবে। দেশে যদি ১২ টি দল না থাকে বা কম থাকে সেক্ষেত্রে অবসর প্রাপ্ত সেনা প্রধান, প্রধান বিচার পতি, দেশের বড় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অধ্যাক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কে নিয়ে ১১ জন পার্শ্ব নায়ক গঠন করতে হবে। মহান নায়ক অযোগ্য প্রমান হলে ১১ জন পার্শ্ব নায়কের যিনি প্রধান সে আবার মহান নায়ক হবে। যে মহান নায়ক পদ ত্যাগ করবে সে মহান মানব হয়ে রাষ্ট্রের ভাতা পাবে ও সর্বাধিক সম্মানিত হিসাবে মানুষের কাছে পরিগনিত, হবে। সে পাঁচ বছর পরে ইচ্ছে করলে আবার নির্বাচন করতে পারবে যদি জনগন তাকে সাপোর্ট করে। দেশের মঙ্গলের জন্য মহান নায়ক স্বইচ্ছায় পদত্যাগ করলে তার মত সম্মানিত অন্য কেউ হবে না। আর মহান নায়ক দেশের মঙ্গলের জন্য পদত্যাগ না করলে ১১ জন পার্শ্ব নায়ক তাকে সাপোর্ট করবে না ফলে তার ক্ষমতা এমনিতে শেষ হবে । ১১ জন পার্শ্ব নায়ক সুপ্রীম কোর্টে উকিলের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করে ৭ দিনের মধ্যে মহান নায়ক কে বহিস্কার ও পরবর্তী মহান নায়ক কে হবে তা বিচারক ১১ জন পার্শ্ব নায়কের সম্মতি ক্রমে রায় দিবে। এবং সে কাল পুরুষ হয়ে সারাজীবন বেঁচে থাকবে।সে রাষ্ট্রের ভাতা পাবে না। তবে জেলে দেওয়া দরকার নাই কারণ কালপুরুষ নামে জন পরিচিতে সে সারাজীবন অসম্মানে ধুকে ধুকে মরবে। এবং পরবর্তীতে নির্বাচন ও করতে পারবে না। মহান নায়ক ও ১১ জন পার্শ্ব নায়ক বাদে বাকি সব এমপিরা দক্ষক নামে নির্বাচনী এলাকায় দেশ ও জন গনগনের হিতে কাজ করবে এবং সেই সাথে মহান নায়ক ও পার্শ্ব নায়কের ভালো মন্দের সমালোচনা করতে পারবে কিন্তু বিরোধিতা করতে পারবে না। বিরোধিতা করলে দেশদ্রহী হিসেবে গন্য হবে এবং এমপি পদচ্যুত হবে। ৩০০ আসনের মধ্যে মহান নায়ক ও ১১ জন পার্শ্ব নায়ক বাদে ২৮৮ জন দক্ষকের মধ্যে ২০ জন দীক্ষক ( মন্ত্রী) হবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। দীক্ষকেরা মহান নায়ক ও পার্শ্ব নায়কদের ভালো মন্দের সমালোচনা করতে পারবে ও পরামর্শ দিতে পারবে কিন্তু বিরোধিতা ও বাধ্য করতে পারবে না। যদি দীক্ষকেরা বিরোধিতা ও বাধ্য করার পদক্ষেপ নেয় তা হলে দেশদ্রোহী হিসেবে পদচ্যুত হবে। পদচ্যুত স্হানে পুনরায় নির্বাচন করতে হবে।
নারীদের সংরক্ষিত আসন নাই তবে নির্বাচন করতে পারবে ও জয়ী হলে যোগ্যতা অনুসারে দীক্ষক বা পার্শ্ব নায়ক বা মহান নায়ক হতে পারবে। যে সব দল ৯ সিরিয়ালের পরেও থাকবে ও নির্বাচন করেছে অথচ জিততে পারেনি তাঁরা আত্মত্যাগি হিসাবে সারাদেশে সরকারি লোক হিসাবে দেশ, জনগনের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ্যতা হিসাবে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলা সহ সারাদেশে জনগণের কল্যানে কাজ করবে এবং বিভিন্ন সমস্যা ও জনগণের দূর দশা মহান নায়ক ও পার্শ্ব নায়কদের তথ্য হিসেবে জানাবে এবং তাঁরা কোন মানুষের অসুখ বিসুখে হাসপাতালে নিয়ে যাবে। ঝগড়া মারামারিতে চেয়রাম্যান, মেম্বার ও পুলিশ কে অবহিত করবে। পুলিশের ৫ সদস্যের একটি টিম প্রতি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক আত্মত্যাগীদের সাথে ও জনগণের কল্যানে নিয়োজিত থাকবে। প্রতি ওয়ার্ডে মিডিয়ারা থাকবে সরকারকে তথ্য এবং জনগণের মধ্যে সে তথ্য তুলে ধরে সত্য প্রকাশের মাধ্যমে জনহিতে একনিষ্ঠ ও সত্য ও সেবামূলক কার্যক্রমে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে।