ভবিতব্যের হাটে
সম্ভাব্য যুবকমেঘ যেতে যেতে দেখে নিচ্ছে,
ধুলো ওড়া মোরামের সরান বেয়ে শিবুকাকা মাঠে যাচ্ছে
করিমের মাছের ঝাঁকায় এপাড়া ওপাড়া চুনোপুঁটি চাহিদা,
তাকে ঘিরে গোল হয়ে বসবে দর-কষাকষি সকাল কিছুক্ষণ পরে।
গতরাতে ফুটে থাকা কাঠকাঞ্চনগুলো মৃদু হাওয়ায় দুলছে
পরেশকাকার বারদরজায়।
একটু পরেই ও মুনিয়াকে আবভাবে বলবে–
আমার গ্রাম ছেড়ে শহরে যাওয়ার বিরহ-ধূসর কথা।
বুড়োবট ছায়া দিয়ে লিখে রাখবে সেসব পংক্তি,
কখনও খররোদ কখনও রাখালিয়া এসে
গুলিয়ে দেবে তার ছন্দ ও অন্ত্যমিল।
তারই মাঝখান দিয়ে গৃহস্থ উঠোন থেকে কলকল রবে
একপাল হাঁস ভাঁট-শালুকের ঠোঁট ছুঁয়ে দেখে নেবে–
কতটা সনেট হয়ে দূরে চলে যাচ্ছে মাটির পাণ্ডুলিপি
ভোরের ট্রেনে।