আহ্নিকগতির রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে আকাল ছিঁড়েছে এই ক’মাস-
যখন শ্বাপদ নখরের সীমায় দুর্ভিক্ষের মাংস হয়েছিল এ হৃদয়;
অথচ প্রত্যাবর্তনে তেমন কোনো সংশয় ছিল না জেনেও কেন যে
আমি এটুকু সময় নিয়ে জাগলারের মতন লোফালুফি করতে পারিনি!
উল্টো আমাকে ইরাক বানিয়ে বুশ-সময় তামাশা করেছে অন্ধকারে।
আজ জরুরী দুটি রেডক্রসের হাত; এক ইরাক বুক নিয়ে পুনর্গঠিত
হতে চাই আমি—পুনর্গঠিত হতে চাই! অতএব ঐশ্বর্যের পাহাড় নিয়ে
তুমি আর থেকো নাকো দূরে। সত্য যে প্রণয়ের রাজ্যেও সাম্রাজ্য-
বাদিতার সমালোচক আমি; কিন্তু এও তো সত্য যে–গরজ বড় বালাই,
এবং শত আঘাতেও এ সত্যের রঙ চটেনি আজো। এই হৃদয় বাগদাদ
জাদুঘরের চেয়েও পুরোনো; লুণ্ঠন-পূর্ববর্তী অবস্থা ফিরে আসবে না,
জানি। আর খোয়া গেছে এমনকি প্রত্নধনের লিস্টও; তবু নাইমামার
ভিটায় এসে খাড়া হোক কানামামা। ভালোবাসার স্বার্থে যে কোনো
শর্তেই রাজি এ আমি; রাজি এমনকি অধীনতামূলক মিত্রতার সনদে
সই দিতে। অতএব ফিরে এসো তুমি—মার্কিনী চরণে হলেও এসো।