আমি কেবলই স্বর্গের স্বপ্ন দেখি
বড় যেতে ইচ্ছে করে,
কিন্তু স্বর্গ কেমন কেউ জানে না।
সবাই কেবলই বিশ্বাস করে।
না! কেহ কেহ স্বর্গে যায়,
তবে কেউ ফিরে আসে না।
আকাশের উপরে মেঘের ওপারে
তারাদের সাথে ঘুরে বেড়াই,
যদি হঠাৎ স্বর্গের দাড়
একটু দেখা যায়।
অপেক্ষার শেষ নেই, আমি প্রতিক্ষায় থাকি,
মনে হয় স্বর্গ আমাদের শৈশব কালেই
আমাদের কাছে রয়েছে।
বাড়ন্ত বেলায় আস্তে আস্তে
ক্রমশ অনন্তে হারিয়ে যেতে থাকে।
ঐ যে আলো দেখি এবং যেখানে থেকে
তা প্রবাহিত হচ্ছে তাই বুঝি স্বর্গ?
আমরা কি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছি
আমাদের বেড়ে উঠা নারীর
গর্ভের অন্ধকারে,
জন্ম কেবল এক বিন্দু ঋণ এবং
একটি স্মৃতি হারানো বিস্মৃতি।
আর আত্না উদিত হয় আমাদের জীবনে,
দেহ না জীবন; জীবন না আত্না
চলে যাওয়ার নিরবধি খেলা।
আত্নারা অফুরন্ত ক্ষমতায় ঘুরে বেড়ায়
মাঠ থেকে মাঠে আকাশের ওপারে আকাশে
দেহ থাকে পৃথিবীতে।
ছায়াপথের গ্যালাক্সিরা স্বর্গের কাছাকাছি
স্বর্গের ফুল পারিজাত ফুটে পৃথিবীর বুকে,
একটি কুৎসিত দাঁড় কাক
অপেক্ষা করে
নিয়ে যাবে স্বর্গের দুয়ারে।