পড়িয়া আছো সুদূর পানে–
এই আকাশ নক্ষত্র সাথে লয়ে,
গুনিতেছো প্রহর, সমুদ্র তরঙ্গ, পাড়ে বসে–
একাকী মনে, বাতাসের ভাষা শুনিতেছ কানে।
তোমার সেই ছেড়ে আসা অমূল্য দিনগুলি,
পথে চাঁপার গন্ধে ঘুড়ে বেড়িয়েছিল দুটি প্রাণ।
কত অবক্ত কথা, হয়নি যা বলা–
পথ চলিতে চলিতে মেখে ছিলে পায়ে কতো ধূলি।
এখন ভাবাকুল হয়ে, কি ভাবিতেছো একাকী?
জ্যোৎস্না রাতে আমি ও সবারে দিয়ে ফাঁকি,
তোমারে লয়ে গাঁথিতেছি কথামালা,
যে নাটকের শেষ নাই, শেষ নাই তার পালা।
আসা আর যাওয়া, কতো কিছু ঘটিছে জগতে,
নরকের যন্ত্রনা লয়ে দেখি বাঁচে
কেহ বাঁচে স্বর্গীয় সুখের ধাঁচে,
কর্মের সব ফল লেখা বুঝি পরতে পরতে।
অসীমের মাঝে আমরা দুই জনে,
কল্পনায় রচিতেছি অসীম সুখ নিজেদের মনে।