Skip to content

সহসা সহাস্য নয়নিকা (২) – অলোক নন্দন

তুমি তো অজস্র ব্রহ্মান্ডের রঙ হে বালিকা
তুমি তো মেঘালয়ের স্নিগ্ধ-সুরভী জলদরাশি
তুমি তো এক জীবন তাকিয়ে থাকার শেষে
এক-বিন্দু অমৃত-অশ্রুজল, প্রতিশব্দ অনন্ত-রাশির।

শুনেছি আগুন গলিয়ে দেয় লোহার যত খাঁচা
অথচ আমার বালিময় শুকনো মরুর হৃদয়
নয়নপাতের সিক্ত জলদরাশিতে হলো মেঘসম।
কেবলই মল্লারধ্বনি ছায়াময় অপেক্ষমান।
কেবলই মুহুর্মুহু বৃষ্টিচ্ছায়ায় অপেক্ষমান।

এক নও তুমি অনন্তে তোমার সহাস
যাকে দেখিনি কখনো
শুনিনি যার লহরী আজীবন!
তুমি সে অনন্তলোকের ঘ্রাণ এনে দাও
তোমার সহাস্য অপ্রতিভ জোছনায়।

আমাদের এই আনগর শুন্যতাকে তুলে নাও
করো আমাদের অসংগতিতে প্রকৃতির সহগসংখ্যা।
হে মানবী, জাগতিক পেশা তোমার নয়।

অমৃতত্ব দান করোঃ
নিয়ে যাও তোমার নায়েঃ

মন্তব্য করুন