শহর নগর প্রতি ঘরে বউ শাশুড়ীর যুদ্ধ।
ঝগড়া শুনে ছুটে আসে গোটা পাড়া শুদ্ধ।
ঘরের জিনিস ছুঁড়ে দাওয়ায় ভীষণ রকম রাগে।
খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তুমুল ঝগড়া লাগে।
পুরুষ বেঁচেরা কোথায় যাবে তাকায় ডানে বামে।
না জানি এই অশান্তিটা কোন কালে যে থামে।
এমনিতেই তো ঋণের বোঝা চড়া বাজার দামে।
সংসারেরও টানাটানি অল্প এই ইনকামে।
মা বলে অনেক হলো বউটাকে এবার তাড়া।
একটা দিনও কাটে না যে জুট ঝামেলা ছাড়া।
কষ্ট করে করছি মানুষ কোথায় ছিল আগে।
উড়ে এসে জুড়ে বসে কিসের মায়া লাগে।
ছোট থেকে বুকে আগলে করছি কতো বড়ো।
ঘর সংসার ছাড়বো যদি বউয়ের কথা ধরো।
বউও বলে তাই যদি হয় করলে কেনো বিয়ে।
তেমন হলে থাকতে একা, মা বাবাকেই নিয়ে।
আমায় যদি ভালোবাসো ভাড়া বাসায় রাখো।
মাঝেমধ্যে একটু না হয় তাঁদের কাছে থাকো।
ভালো হবে করো যদি ভিন্ন ভাতের হাঁড়ি।
তা না হলে থাকবোনা আর, যাবো বাপের বাড়ি।
মা বলে গর্ভে ধরে জন্ম দিলাম আমি।
বউ বলে যতোই বলো সে তো আমার স্বামী।
খাওয়া দাওয়া হোক বা না হোক, মুখে ঝুলে তালা।
দিনে দিনে বাড়তে থাকে অশান্তি আর জ্বালা।
সকাল সাজে হৃদয় মাঝে যন্ত্রণারেই বিষে।
কোন দিকে যায় করবে কি যে পায়না খুঁজে দিশে।
এমন করেই ঝগড়াঝাটি চলতে থাকে নিত্য।
কেউ বুঝে-না পুরুষ জাতির পুড়ছে তাতে চিত্ত।
মনের যতো দুঃখ ব্যাথা বলবে সে আর কাকে।
বুকের ভিতর পাহাড় সমান কষ্ট চেপে রাখে।
ঘরে ঘরে এই সমাজে বউ শাশুড়ীর ফাঁদে।
শক্ত সবল পুরুষটাও আজ আপন মনে কাঁদে।
চলো এবার শপথ করি হিংসা বিদ্বেষ ভুলে।
হবো না আর নিজে নিজের সর্বনাশের মূলে।
বউ শাশুড়ী মিলেমিশে একই সাথে থাকি।
মিষ্টি মধুর সম্পর্কটা একটু বজায় রাখি।
ঘুনে ধরা সমাজটাকে ভালোবাসায় গড়ি।
সংসার মাঝে শান্তি-সুখের হালটা নিজে ধরি।
স্নেহ আদর মায়ায় ভরা আমরা তো সেই নারী।
সমাজটাকে নতুন করে বদলাতে তো পারি।