অনেক সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা
রাত্রির কালো ছায়া,
দেখিয়াছো তুমি তোমার আঁখিতে
আমি পেয়েছি মায়া।।
প্রস্ফুটিত গোলাপের মতো
লালিত তোমার বুকে,
রাখিয়াছো বাঁধি বিপদে আপদে
যাতে থাকি আমি সুখে।।
কাঁদিয়াছো তুমি কাপড় বাঁধিয়া
খিদের চোটে পেটে,
সেসব খাবার ভক্ষিতে আমি
পূর্ণতায় চলেছি হেঁটে।।
তম ঋণ কভূ মিটাতে অপরাগ
সাজিয়াছি ভিক্ষারী আমি,
ক্ষমা করিয়া দোয়া করো মা
হই যেনো আমি দামি।।
পিতা না থাকিলে কষ্ট কেমন
বুঝিবে কি আর কেউ?
উঁচু নীচু কত ঝড় বয়ে যায়
উঠিছে সংসার ঢেউ।
হাঁড়হিম করিতে ব্যর্থ নয়
মম জননী মাতা,
বৃষ্টিতে ভিজিলে কষ্ট করিয়া
ধরিত মাথায় ছাতা।।
মাটি বাড়ি তাও ঝিটেপড়া বাড়ি
কষ্টের অন্ত নাই,
মাতা বিনা সবার জীবন অচল
ভালোবাসো সব ভাই।।
রক্ত মাতার দুগ্ধে পরিণত
করিয়ো না অবহেলা,
বুঝিবে তোমার চিত্ত সেদিন
বয়ে যাবে যবে বেলা।।
ভালোবাসিয়া টানিয়া নাও
মায়া ভরা মুখে তোমার,
যখন তোমার ছিলোনা কেউ
ছোঁয়া ছিলো মায়ের ভালোবাসার।।