৭৭ বৎসর বয়সে কিডনির ব্যাধি লয়ে
চলে যে গেলেন তিনি, অশ্রুবারিতে ভাসিয়ে দিয়ে
সকলকে দূরে রেখে লোকচক্ষুর অন্তরালে।
পুরুলিয়ার ঐ রেলওয়ে পারের অখ্যাত আনাড়া গ্রামে
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৪ সালে পিতা তারাকান্ত দাসের বাড়িতে আলো করে জন্ম নিয়ে ছিলেন
নয়জন সহোদরের তৃতীয় মণি হয়ে গণ্য হলেন।
একাধারে কবি, পরিচালক – চলচ্চিত্র নির্মাতা
অর্থ নীতির অধ্যাপক পদে আসীন ছিলেন।
বারো বৎসর বয়স হাওড়ার দীনবন্ধু স্কুলে
শুরু করে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা,
শ্যাম সুন্দর আর সিটি কলেজে করেছেন অধ্যাপনা।
কাকামণির সাথে দেশি-বিদেশী সিনেমা দেখার নেশায়,
প্রেরণা পেলেন চলচ্চিত্রায়ণের সোনালী ইতিহাস রচনায়।
মহানুভবতার পরিচয়ে সকলকে আপন করেন
ঊষর ভূমি – শিখর ভূমি মানভূম কে সুটিং স্পট
রূপে জগৎ সভার শ্রেষ্ঠ আসনে বসালেন।
সুটকেস, হিমজপ, ছাতা কাহিনী, রোবটের গান, কফিন
ভোম্বলের আশ্চর্য কাহিনী, শ্রেষ্ঠ কবিতা গুলো
সাহিত্য জগৎ সভায় হীরক দ্যূতিসম ছড়ালেন।
চরাচর, কালপুরুষ, তাহাদের কথা, মন্দমেয়ের উপাখ্যান চলচ্চিত্রায়ণে জাতীয় পুরষ্কারে সম্মানীত হয়ে আপ্লুত করলেন।
১৯৬৮ সালের দশ মিনিটের ডকুমেন্টারির চাবি কাঠিতে
প্রথম দরওয়াজা খুলে ছিলেন চলচ্চিত্র জগতে।
স্বপ্নের দিন, তাহাদের কথা, দূরত্ব রেখে গুণীজন
ইহজগৎ ফেলে ঘুমের মধ্যেই তারার দেশে চলে গেলেন।