তারপর,
একদিন বাড়ি ফেরার গান হবো।
রাস্তার ঐ ল্যাম্পপোস্টে হেলান দিয়ে,
কিছুক্ষণ লিখে যাবো অপেক্ষার গান।
বেলা শুরুর সময় আমার ছায়া
মিলিয়ে যাবার আগেই,আমি ফিরে আসবো।
অপেক্ষার কপালে চুমু খেয়ে বলবো,
তুমি উল্টো পথে হাঁটো।
আমার ফেরা আমি ঠিক করে নিয়েছি।
পিছুফিরে তাকাই, দেখি
মোড়ের মাথার কুকুরের দলের সাথে সেই অপেক্ষা
আবছা কুয়াশার সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে,
দূরে যেতে যেতে উধাও হঠাৎ।
আমার ফেরার গানে,
পায়ের তলায় লেগে আছে চ্যাটচ্যাটে চুইঙ্গাম,নুড়ি পাথর।
পকেটে খুচরো পয়সার ভাঁজে
কয়েকটা কবিতার পাতা
আর এদেরকে জড়িয়ে আছে একটা কলম।
যার মাঝে কয়েকটা কবিতাকে আমি মৃত ঘোষনা করেছি,
ডেথসার্টিফিকেট আর লেখা হয়ে ওঠেনি।
চাইলেই ওদের রেখে আসা যেত।
কিন্তু বাড়ি ছেড়ে বেরুনোর সময় ওদের সঙ্গে নিয়েছিলাম।
এতটা পথ এতটা সময় সাথে ছিল ওরা,
আর যাই হোক ফেরার গান হবো বলে ওদের ছেড়ে দেব
তা হতে পারে না।
আদৌ স্বার্থপর হয়ে ওদের কাছে
মুখ ফেরানোর গান হতে চাইনা।
ফেরার গান হবো, ফেরার গান হয়ে চলেছি,
এবার শুধু কড়া নাড়া বাকি।
পকেটে এতগুলো চাবি,অথচ তার তালা জীবিত নেই।
ভেতর থেকে নীরবতা আওয়াজ দিলেই দোর খুলে যাবে।
ফেরার গানে তোমাদের নিয়ে লিখবো
পৃথিবীর সমস্ত নীরবতার পঙক্তি।
দেখবে তো এসো,
ফেরার গানে আমাকে যেন ফিরে আসতে না হয়
এটুকুই চাইছি ।
© Farhan Noor Shanto