ধর্ম্মাশ্বে অশ্বরাজ
রক্ত মাংসের আদিনেশায় ধর্ম্ম তামাকু মৌতাত
অন্ধ ধর্ম্ম আদিমতায় খন্ড ঐক্যে রুগ্ন ধরা
ধর্ম্মাহং খন্ডরাগে আঁধিতে রচিত মানবতা
সাগর আকাশ কাঁদল খুব ধরণী তখন রক্তস্নাতা
ধর্ম্মের অন্ধকারে অতীতের নগ্ন চেতন
ঘটিকায় পিছে চলে জৈবীক সময়
আবেগ ক্রোধের শান্তিস্পৃহায় ধর্ম্ম যাদের মত্ত করে
ধর্ম্ম সেথা ভোগরস শকূন সাথী ধর্ম্ম শব
রিরংসার উত্তেজক দেহধর্ম্মের স্তুতিকার
উপপূর্তির কবন্ধ মানসিক শূন্য আধার
ধর্ম্ম ধারণ করে মানবিক গুনমার্গ
শান্ত স্নিগ্ধ শুচি ন্ম্র হৃদয় ছাড়া হয় না অর্ঘ্য
দূর্ব্বলের বধ্যভূমি হয়নি ধরা ধর্ম্ম আদেশে
অনেক অলঙ্ঘ্য বাধা পেরিয়ে দয়া প্রেমের জোয়ারে ভেসে
দয়া প্রেমের অমৃত ধারা সঙ্গস্নান বহু অবতার
ধরণী হয়নি শান্তিধাম চেয়েছিল বুদ্ধ খ্রীষ্ঠ কনফুসিয়াস
শান্তির বীজ ধারণ করেছে রক্ত ভেজা মাটি
শান্তি বৃক্ষ রক্ত ছাড়া পায় না তৃষ্ণা- তৃপ্তি……
————————————————
স্নায়ু ও স্মৃতি
কবিতা লিখতে গিয়েই
কখন নিজেকেই খুঁজতে খুঁজতে
মুহুর্ত দেখতে পাই
ছলাৎ মিলিয়ে যায় আত্মা
অস্থির প্রচেষ্টায়
আত্মার স্মৃতির প্রতিবিম্ব আঁকি
হৃতাত্মার আকাঙ্খার মৃদু
অস্পষ্ট
দেখতে পাই
কেবল খুঁজি যাকে
আমি বলে কায়া হতে চায়
চেতনার নয়নে
তার কথা লেখা যায় না
তার কথা কবিতায়
একটা অস্পষ্ট বেনামী বর্ণে
দৃষ্টির ছোঁয়ায় আসন্ন অবয়বে
কবিতার প্রথম শব্দের প্রতিভাসে
অসদ প্রতিবিম্বে
শব্দের শব্দের নবতর অপত্য ভ্রূণ
বিমূর্ত স্নায়ু স্মৃতির গর্ভে
মূর্ত হতে চায় দেহাতীত যন্ত্রণা
আমার কবিতা
——————————————————————————
কবিতা কূরঙ্গে
উদয় অস্তের ধূপ ছায়ায়
মন দেহের গর্ভে
অপত্য দশায়
অস্তিত্বের নিয়ামক
দেহের চৌহদ্দি বন্দী
মৃত্যুর মেদুর মেঘে
জীবাকাঙ্ক্ষা
সজীবতা সরলতা উদারতা হারা
অনুভব স্বজ্ঞার জীবাশ্মের মত
শব্দেরা সত্যের কবন্ধ
উভমূখী পণ্য প্রেম
ভক্তি পূষ্পাজ্ঞলি ছুঁড়ে ফেলে
নখদন্তে নির্যাসে আসক্ত
দুঃখের পৃথিবীর কান্ডারী
অমানিশা ভালবেসে কুরঙ্গী
শব্দের তরঙ্গে ক্রন্দসী চন্দ্রিমা
অপূর্ব ভাষার ব্যবহার। দারুন দারুণ। ভালো থাকবেন কবি। ভালোবাসা অফুরন্ত।
আমার লেখা পড়ার অনুরোধ রইল।