জন্মটা বেশ মজাদার, প্রাপ্তি যোগের সঙ্গে থাকা আর মৃত্যু? কে জানে, নিজের প্রশ্নে নিজেই আঁতকে উঠলেন সৌম্যরত্ন বাবু; আজ ই তো স্বপ্ন দেখছিলেন ভোর রাতে নীল জল লাল টকটকে ফুটন্ত ফুল, বাদামী রঙের পাতায় গাছ! আর কিছু মনে নেই এখন এই জলখাবারের সময়, অফিসের তাড়া, বাজারের হুড়োহুড়ি সবটাই দৌড়াদৌড়ির ব্যাপার, সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা– তবুও মনে হচ্ছিল মৃত্যুর পরে এমন কোন জায়গাতেই বোধহয় যায় সবাই, আজ স্বপ্নে দেখা জায়গাটা আগে কখনও দেখেন নি উনি। সৌম্যরত্নবাবু বাসে উঠে পরলেন আজ কাজের সময়টা কেমন সহজে পেরিয়ে যাচ্ছেন একটুও চাপের মনে হচ্ছে না ওঁর,বাসে রোজকার মতোই ভিড়, কন্ডাকটারের বিদ্ঘুটে স্বরে টিকিট টিকিট চিৎকার, লোকের নামা ওঠার বিশ্রী শোরগোল এইসব দৈনন্দিনেও সোম্যরত্নবাবু কেমন ভাবুক হয়ে আছেন, রোজ যেমন বিরক্তিতে দম বন্ধ হয়ে আসে আজ তেমন লাগছে না, সৌম্যরত্নবাবু নিশ্চিত ওনার স্বপ্নটা শুভ ইঙ্গিত না হোয়েই যায় না।