Skip to content

দাবিদার নামধারী আহলে হাদিস

——-আমি আহলে হাদিস বা লামাযহাবী হতে চাই——–
.
আমি আহলে হাদিস হতে চাই। কেউ আমাকে আহলে হাদিস হতে সহযোগিতা করুন!
.
আমি আহলে হাদিস হওয়ার প্রবল আশায় মাজহাবের অনুসরণ বাদ দিয়ে হাদিসের গবেষণায় লিপ্ত হয়ে অবশেষে বেদীন হওয়ার আশঙ্কায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি।
.
চিন্তা করলাম আর মাযহাব তাযহাব মানব না। কোনো ইমাম টিমামের মতামতও মানব না, ব্যাখ্যাও মানবনা। সরাসরি হাদিসের উপর আমল করব। না বুঝলে বাংলা দেখে নিব।
.
সে মর্মে একটি হাদিস নিয়ে গবেষণা শুরু করে রীতিমত হিমশিম খেলাম।
.
হাদিস:
ﺻﻠﻮﺍ ﻛﻤﺎ ﺭﺃﻳﺘﻣﻮﻧﻲ ﺍﺻﻠﻲ
.
(তোমরা আমাকে যেভাবে নামাজ আদায় করতে দেখেছ সেভাবেই নামাজ আদায় করো)।
.
বুখারী শরীফের উক্ত হাদিসটিতে ব্যক্তিগত চিন্তা দ্বারা গবেষণা করতে গিয়ে ইমান হারাবার উপক্রম হলাম।
.
যেহেতু আমি কাহারো অনুসরন করব না বলে প্রতিজ্ঞা করেছি তাই আমার ব্যক্তিগত মতামতের ফলাফল কি তা আপনাদের কাছে পেশ করছি।
.
.___________________
.
উক্ত হাদিস নিয়ে যখন গবেষণা শুরু করলাম, তখন আমার মস্তিষ্কে এ চিন্তার উদয় হল যে, আল্লাহর রাসূল (সা) তো বলেছেন তাঁকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখবে সেভাবেই সালাত আদায় করবে। তাই আমাকে হুবহু সেভাবেই করতে হবে।
…….
অথচ আমি নবীজী (সা)-কে সালাত আদায় করতে তো দেখিনি..!!
.
তাই এ হুকুম আমার জন্য নয়, বরং এ হুকুম ঐ সকল লোকদের জন্য যারা সরাসরি নবীজি (সা)-কে সালাত আদায় করতে দেখেছেন।
.
কারণ নবীজী (সা)-কে দেখার কথা বলেছেন, শোনা বা পড়ার কথা বলেননি।
তাই যে উম্মত নবী (সা)-কে নামাজ পড়তে দেখবেনা তার নামাজও পড়া লাগবেনা।
.
এখন আমি কি করে নামায পড়বো……??
.
আমার আরো কিছু চিন্তার উদয় হল, আমি যদি নবীজী (সা)-কে নামাজ আদায় করতে স্বচক্ষে দেখতাম তাহলে তো আমার জন্য উনাকে হুবহু অনুসরণ করা আবশ্যক হত, তাই না…!!
.
কিন্তু সেটা আমার জন্য সম্ভব হলেও একজন মহিলার জন্য তা কিভাবে সম্ভব হতো…….?
.
একজন মহিলা কি পারত নবীজীর ন্যায় লুঙ্গি আর চাদর পরে নামাজ পড়তে……?
.
কারণ , নবীজী (সা) তো হুবহু অনুসরণ করতে বলেছেন, তাই নয় কি…..?
.
যেহেতু তিনি কোন ﺍﺳﺘﺜﻨﻲ বা পৃথককরণ তো করেননি….! এখন মহিলারা কি করে নামায পড়বে….??
.
আরেকটা চিন্তা আসল যে, নবীজী (সা) তো ইমাম হয়ে নামাজ পড়েছেন। তো সব মানুষ কি ইমাম হতে পারবে?
.
আর পুরুষরা পারলেও মহিলাদের দ্বারা কি ইমাম হওয়া সম্ভব……?
.
কেননা নবীজি কোন ইসতেসনা ছাড়াই বলেছে নবীকে হুবহু অনুসরন করতে ।
.
এখন আমি কি করতে পারি বলুন….??
.
আগেই তো বললাম যে, আমি কাহারো মাযহাব (মতামত) মানব না, কোনো ইমাম টিমামের অনুসরণও করবনা। নিজে নিজে বুঝে সিদ্ধান্ত নিব।
.
কিন্তু এখন দেখি বিপদ! দূর!!!
.
কিসের নামাজ টামাজ আবার (নাউযুবিল্লাহ) ইত্যাদি নানান প্রশ্ন এসে মাথার মধ্যে জড়ো হতে লাগল।
ফলে দ্বীন সম্পর্কে নানা রকম সন্দেহ সৃষ্টি হতে লাগল। ফলে মুরতাদ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলাম। অবস্থা খারাপ দেখে তথাকথিত “আহলে হাদিস” (আহলে ধোঁকাবাজ) হওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টে স্বাভাবিক হলাম।
.
এবার আপনরাই বলুন, নিজে নিজে গু-বেষণা করে দ্বীন শিখব, নাকি বড়দের (মুজতাহীদ ইমামদের) মতামত মানব….?
.
বড়দের (মুজতাহীদ ইমামদের) মতামত বা মাযহাব মানলে ওরা যে শিরিক হবে বলে!!!
.
প্লিজ, আমাকে আহলে হাদিস হতে আপনারা একটু সহযোগিতা করুন!
.

মন্তব্য করুন