আমার দু হাত রক্তে মাখা,
শিকলে বাঁধা স্বাধীনতা
পুড়ে যাওয়া কার্ণিশে অবলা সংকেত –
শিলালিপির ভাষা খুঁজছে ।
সবুজ , সুন্দর , শস্যশ্যামলা দেশ
কোন অপরাধে তুমি নিঃশেষ ,
ওরা জানে না …..
ওরা জানে শুধু আগ্ৰাসী নীতি , আর সাম্রাজ্যবাদ
ওরা জানে শুধু মেহনতি মানুষের রক্তমাখা হাত
ওরা জানে শুধু নগ্ন নারীদেহে চাবুকের আঘাত
ধূলোয় মিশে যাওয়া আধপোড়া লাশ ,
ভবিষ্যৎ ছুঁয়ে যাবে ….
যতক্ষন দেহে আছে প্রাণ আঁকড়ে ধরা রক্তমাখা হাত , হোক যুদ্ধের অবসান ।
বন্দুকের গুলি , বারুদের গন্ধ , কালো ধোঁয়া , আকাশের বুকে যুদ্ধবিমান –
লাশের কবরে রাত জেগে প্রিয়তমা , হাতে শুকনো গোলাপ অতীত স্মৃতির অপেক্ষায় ….
আধো ঘুমে মোমবাতি নিভে গেল ।
হে সৈনিক,আর বুঝি ফিরবে না এ পৃথিবীর বুকে
অবাক পৃথিবী তাকিয়ে তোমার দিকে ।
তোমরা যুদ্ধ থামাও !
হিংসা থেকে জন্ম নেওয়া প্রতিহিংসার আগুন আর রক্তনদীতে স্নান করে কী পেয়েছে তোমার দেশ ?
যুদ্ধ নয় , শান্তি ফিরিয়ে দাও …..
সবুজ বনানীর মাঝে আধপোড়া লাশ গুনতে গুনতে আগন্তুক ক্লান্ত –
আমার দু হাত রক্তে মাখা ।
বাঙ্কারে লুকিয়ে বিপন্ন মুখ , উৎকন্ঠায় প্রতিটি রাত
সূর্যোদয়ের আলো দেখতে চাইছে ।
আমাকে দু দন্ড শান্তি দিয়েছিল সেই মোনালিসা
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির পোর্ট্রেট –
ছুটে গেলাম , বাঁচাতে পারলাম না ……
সূর্যাস্তের কোলে ঘুমিয়ে পড়লো লাল রক্তে ভেসে যাওয়া এক ইউক্রেন শিশুর নিস্পাপ মুখ ।
আমার দু হাত আজ হয়ে গেল রক্ত মাখা ।
আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বললাম,
যুদ্ধ করে কী পেয়েছে তোমার দেশ ?
যুদ্ধ থামাও ! সব হয়ে গেছে নিঃশেষ ।
দেখো , সবুজ বিপ্লব আজ বর্ণহীন ।
বারুদের গন্ধে ঢেকে যাওয়া কিভ
একটু নিঃশ্বাস নিতে চাইছে …….
হে সৈনিক , তোমরা যুদ্ধ থামাও !